বলছি খুলনার ডুমুরিয়ার মুন্না হোটেলের কথা। এটি আধুনিক সাজসজ্জার কোনো খাবার হোটেল নয়, খুব প্রাচীন ঐতিহ্যবাহীও নয়, কিন্তা মা-ছেলের এ হোটেলটির সুনাম খাবারের স্বাদ এবং পরিচ্ছন্নতার কারণে। ছেলে মাহবুব রহমান মাত্র সাতশো টাকা পুঁজি নিয়ে তার পিতার সাথে খাবার এ হোটেলটি শুরু করেছিলেন। গুটি গুটি পায়ে বারো বছর অতিক্রম করে এখনো মায়ের হাতের রান্না নিজের হাতে পরিবেশন করে ছেলে মাহবুব রহমান হোটেলটি চালিয়ে যাচ্ছেন। জানালেন খাবার এ হোটেলটি দিয়ে যে আয় হয় তাতে তিনি সুখেই আছেন। বড় কোনো প্রত্যাশা নেই, মানুষের সুনাম কুড়িয়ে বেঁচে থাকতে চান। হোটেলে খেতে এসেছেন এমন কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়— হোটেলে খাবারের মানে তারা খুশি, এবং এখানেই তারা নিয়মিত খান। মূলত উপজেলা সদরে বিভিন্ন কাজে আসেন, এবং উপজেলা পর্যায়ে চাকরি করেন এমন লোকেরাই এখানে খেতে আসেন। পাশাপাশি খুলনা শহর থেকেও অনেকে মুন্না হোটেলে খেতে যান। এ হোটেলের ট্রেড মার্ক খাবার হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের দেশি মাছ, খাসির মাংস, গরুর মাংস এবং চিংড়ী মাছের বড়া। বেশিরভাগ রান্নায় থাকে গোটা রসুন এবং চুইঝালের ব্যবহার। হোটেলটির স্বত্তাধিকারী জানালেন— করোনার সময় খাবারের হোটেলের ব্যবসায় যে ক্ষতি হয়েছে সে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে তার কষ্ট হচ্ছে।