অনুমতি না নিয়ে বাড়িতে ঢোকায় বিহারের পঞ্চায়েতের শাস্তি জুতাপেটা, থুথু চাটা

পঞ্চায়েতের শাস্তি বিহারে

বিহারের নাপিত মহেশ ঠাকুরের অপরাধ তিনি অনুমতি না নিয়ে একজনের বাড়িতে ঢুকেছিলেন। বাড়িতে সে সময় কোনো পুরুষ মানুষ ছিলেন না। তাই এটাকে বড় ধরনের অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়।

গ্রাম্য পঞ্চায়েত বৈঠকে তাকে নিজের থুথু নিজেকে চেটে নিতে হয় এবং নারীদের হাতে জুতার বাড়ি খেতে হয়। গত বুধবার বিহারের নালন্দা জেলায় এ ঘটনা ঘটে।

এনডিটিভির দেরিতে পাওয়া এক খবরে জানা গেছে, জেলার নুরসরাই থানার আজাদপুর গ্রামের ৫৪ বছর বয়সী নাপিত মহেশ ঠাকুরের বিরুদ্ধে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান দয়ানন্দ মাঝির বাড়িতে কড়া না নেড়ে ঢোকার অভিযোগ ওঠে।

এর শাস্তি হিসেবে গ্রাম্যসালিশ বসিয়ে বিচার করা হয় তার। নিজের থুথু মাটিতে ফেলে তা চেটে খেতে বাধ্য করা হয় তাকে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে।

এরপর থেকেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে সালিশকারীরা। সালিশে গ্রাম্য মোড়লরা মহেশকে শুধু থুথু খেতে বাধ্য করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা নারীদের দিয়ে জুতার বাড়ি খাইয়েছে ওই ব্যক্তিকে।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নালন্দা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট ত্যাগারাজন এস এম ও পুলিশ সুপার সুধীর কুমার পরিকা আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন।