গির্জায় ঘণ্টা বাজানোর লোক পাওয়া যাচ্ছে না ব্রিটেনে

লোকবলের অভাবে ব্রিটেনের গির্জাগুলোতে ঘণ্টা বাজানোর যে সনাতন রীতি বা যে চল সেটা হুমকিতে পড়েছে।

1
সেন্ট পল গির্জার ঘণ্টা

বহু শতাব্দী ধরে চালু থাকা এই রীতি অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে কারণ এই কাজের জন্যে নতুন লোক পাওয়া যাচ্ছে না।বিবিসির এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, এই কাজের জন্যে লোকজনদেরকে উৎসাহিত করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

গির্জায় যারা বেল বাজান তাদের পরিষদের বার্ষিক এক সম্মেলনে তিন চতুর্থাংশ লোকই বলেছেন, গত ১০ বছরে এই কাজের জন্যে নতুন কর্মী পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

বিশেষ করে কুড়ির নিচে যাদের বয়স তাদেরকে এই কাজের ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলা খুবই কঠিন।

বহু বছর ধরে লন্ডনের একটি গির্জায় ঘণ্টায় বাজাচ্ছেন ডিকন লাভ। তিনি বলছেন, এটা যেনো এখন দাড়ি আছে এরকম বৃদ্ধ ব্যক্তিদের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

2
গির্জায় ঘণ্টা বাজানো এক ধরনের হেভি মেটাল: ডিকন লাভ

তিনি বলেন, চিত্তকে চাঙ্গা রাখার জন্যে এই কাজটা করা যেতে পারে।

“এটা হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট হেভি মেটাল, খুব জোরে হওয়া একটা শব্দ। এই ঘণ্টাধ্বনি আপনাকে ফিট রাখবে। এটা সামাজিক একটা কাজও বটে,” বলেন তিনি।

গির্জার কর্মকর্তারা বলছেন, কিশোর কিশোরীরা এখন এবিষয়ে একেবারেই আগ্রহী নন। আগে তারা উৎসাহী ছিলো। কারণ তখন তাদের খুব বেশি কিছু করার ছিলো না। কিন্তু এখন নেই। কারণ তারা কতো কিছু করতে পারছে!

যুক্তরাজ্যে বর্তমানে এই কাজের সাথে জড়িত আছেন ৪০,০০০ মানুষ।

# এই নিউজটি বিবিসি বাংলা থেকে নেওয়া হয়েছে।