স্থানীয় জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা সাব্বির সেতার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, অন্তত ৭২ জন নিহত হয়েছেন। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
পাকিস্তানের ডন অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেহওয়ান এলাকার ইন্দুস হাইওয়ের কাছে ওই মাজারে এই আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় তালুকা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক মঈনুদ্দিন সিদ্দিকী বলেন, হাসপাতালে অনেক জনের লাশ এসেছে। এ ছাড়া চিকিৎসার জন্য কমপক্ষে ১০০ জনকে আহত অবস্থায় আনা হয়।
শেহওয়ান এলাকার সহকারী এসপি বলেন, আত্মঘাতী সন্ত্রাসী মাজারের গোল্ডেন গেট দিয়ে প্রবেশ করেছে। প্রথমে একটি গ্রেনেড ছোড়ার পর আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। তবে ছুড়ে দেওয়া গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হয়নি। মাজারে সুফি রীতি অনুযায়ী আজ সেখানে অসংখ্য ভক্তের সমাগম ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালসহ ওই এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য লিয়াকত মেডিকেল কমপ্লেক্স জামশরো ও সাব-ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় দেশটির সেনাবাহিনীর স্টাফ জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া আহত সাধারণ নাগরিকদের দ্রুত সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে পাশের হায়দ্রাবাদে সেনা হাসপাতালেও আহতদের চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মুরাদ আলী শাহ দেশটির জ্যেষ্ঠ সিভিল ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ফোন করে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ১২ নভেম্বর বেলুচিস্তান প্রদেশের খুজদার জেলার শাহ নুরানি মাজারে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটে ঘটে। ওই হামলায় অন্তত ৫২ জন নিহত ও ১০২ জন আহত হয়।
সূত্র : প্রথম আলো