নিজের মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে এক বাবাকে ৪৮ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই বাবাকে ২৪ ঘা বেত্রাঘাতেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার মালয়েশিয়ার পেটালিং জায়া নগরীর শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধকারী একটি বিশেষ আদালতের বিচারক জং জারিদা সাজালি এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ধর্ষকের সামনে পড়ে শোনানো হয়। সে সময় তিনি চুপ ছিলেন। পরিচয় গোপন রাখতেই ধর্ষক বাবার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
মামলার তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৩ এপ্রিলে ওই ধর্ষক বাবা মেয়েকে নিয়ে মক্কায় উমরাহ পালন করতে যান। সেখানেই তিনি ১৩ বছরের মেয়েকে প্রথমবার ধর্ষণ করেন। এরপর দেশে ফিরে তিনি নিজের মেয়েকেই বারবার ধর্ষণ করেছেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেইটস টাইম আরও জানায়, ৩৬ বছর বয়সী ধর্ষক ওই ব্যক্তি তিন সন্তানের বাবা। আর ধর্ষণের শিকার মেয়েটি তার বড় সন্তান।
২০১৫ সালে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার স্ত্রীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর থেকে ছোট দুই মেয়ে মায়ের কাছে থাকত। আর বড় মেয়েকে নিজের কাছে রাখেন ওই ধর্ষক।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, কিশোরী মেয়ের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, মূলত ভয় ও লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করতেন ওই ব্যক্তি। কিশোরী মেয়েটিকে বিকৃত যৌনকাজেও বাধ্য করতেন তিনি।
দুই বছর পর ধর্ষক বাবা বাকি দুই মেয়েকেও নিজের কাছে নিয়ে রাখতে চান। তখন বড় মেয়ে মায়ের কাছে পুরো ব্যাপারটি খুলে বলে। এরপর ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্ত্রী।
মালয়েশিয়ার নারী, পরিবার ও কমিউনিটি উন্নয়নমন্ত্রী দাতুক সেরি রোহানি আবদুল কারিম রায়ের সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই রায় শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াবে।
সূত্র: যুগান্তর