একটি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে I Center, অস্বচ্ছল চাকরি প্রার্থীদের তারা এক অর্থে ফ্রি কোচিং করাতে চায়। Scholarship ব্যাচটিতে ভর্তি হয়ে সুযোগটি নিতে হবে।
একটি প্লেসমেন্ট টেস্ট দিয়ে এই ব্যাচে ভর্তি হতে হবে। চাকরি পাওয়া সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের ফি প্রদান করার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। চাকরি না পেলে কোনো কোচিং ফি প্রদান করতে হবে না।
কারণ, একজন অস্বচ্ছল চাকরি প্রার্থী এমনিতেই চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত নাজেহাল থাকে। তার ওপর যদি তার কাছ থেকে কোচিং বাবদ অগ্রীম টাকা নেওয়া হয়, তাহলে বাসায় বসে নিশ্চিন্তে পড়াশুনা করা তার জন্য খুব কঠিন হয়ে যায়।
আবার স্বচ্ছলরা যেহেতু কোচিং করে এগিয়ে থাকছে তাই বর্তমানে এটি না করলেও হয় না। এ উদ্যোগটি I Center নিয়েছে যাতে চাকরিটি সত্যিকার অর্থে যাদের প্রয়োজন তারা পেতে পারে।
পাশাপাশি I Center-এর ইচ্ছে আছে আমাদের এখানে যারা পড়তে আসবে কোনো না কোনোভাবে প্রত্যেককে এমপ্লয়মেন্ট সৃষ্টি করে দেওয়া।
I Center বিভিন্ন ধরনের কাউন্সিলিং-এর ব্যবস্থা রাখবে যাতে চাকরিই শেষ কথা না হয়ে যায়। বর্তমান পৃথিবীতে জীবন ও জীবিকার অনেক পথ, আমাদের সাথে থাকলে কোনো না কোনো পথ আপনি খুঁজে পাবেনই। বলছিলেন, প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম পরিচালক ইয়াসির আহমেদ মিলন।
সৎ, অধ্যবসায়ী ও মেধাবী মানুষের সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে I Center, নিশ্চিন্তে আপনি আস্থা রাখতে পারেন। আমরা ধাপ্পা দিতে চাই না, বরং এই জগতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনাই আমাদের উদ্দেশ্য। বলছিলেন,
ফ্রি কোচিং করার এ ব্যাচটির নাম দেওয়া হয়েছে স্কলারশিপ ব্যাচ। নামটি এরকম হওয়ার কারণ, ব্যাচটিতে ভর্তি হতে হলে একটি প্লেসমেন্ট টেস্ট দিতে হবে। পরীক্ষাটিতে যদি কেউ ৬০ এবং তদুর্ধ নম্বর পায়, তাহলে সে ফ্রি কোচিং করতে পারবে।
আর যদি সে ৩০-এর নিচে নম্বর পায় তাহলে সে এই ব্যাচটিতে ভর্তি হতে পারবে না, তাকে অন্য ব্যাচে ভর্তি হতে হবে। তবে একাধিকবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
৩০ থেকে ৬০-এর মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে যারা নম্বর পাবে তারা বিভিন্ন হারে ডিসকাউন্ট পাবে। যেমন, কেউ যদি ৪০ পায়, তাহলে সে ১০% ডিসকাউন্ট পাবে, যদি ৫০ পায় তাহলে ২০% ডিসকাউন্ট পাবে।
একইসাথে যদি কেউ ৪০ পায় তাহলে তাকে ২০% টাকা অগ্রীম দিতে হবে, কেউ যদি ৫০ পায় তাকে ১০% টাকা অগ্রীম দিতে হবে।
ব্যাচটির আরেকটি দুর্দান্ত বৈশিষ্ট হচ্ছে, একবার ভর্তি হলে যে কেউ এখানে চাকরিটি না পাওয়া পর্যন্ত কোচিং করে যেতে পারবে।