দেখতে দেখতে কেটে গেছে জীবনের ৫০টি বছর। ঘুণাক্ষরেও এতদিন টের পাননি যে, শরীরে বাসা বেধেছে কোনো মারণ রোগ। যখন জানতে পারলেন ততদিনে তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। এক মেয়ে এবং বেকার স্বামী নিয়ে সংসার তার। আছেন নির্ভরশীল শশুর-শাশুড়ি। শশুর-শাশুড়ি এবং স্বামীও বিভিন্নভাবে অসুস্থ। মেয়েটি এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। সারাজীবন অভাব অনাটনে কাটিয়ে কেবল সংসারে একটু স্বচ্ছলতা ফিরেছিল যখন থেকে সকল চাকরিজীবীদের বেতন বেড়ে দিগুণ হলো। সাহস করে চাকরি থেকে লোন নিয়ে ছোট্ট একটি বাড়ি করলেন, ঘরে কিছু জিনিসপত্রও কিনলেন, মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেন, ঠিক তখনই দুঃস্বপ্ন হয়ে এল এ খবরটি। এতদিন চিকিৎসা করিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে পরিবারটি। শুধু ঐ ঘরখানিই আছে, আর চাকরিটা। প্রতি মাসের বেতনের টাকা দিয়ে চিকিৎসার খরচ কুলোয় না। সংসারের খাওয়াপরাও আর চলে না। এখন তো শয্যাশায়ী, চাকরিটাও আর করতে পারছেন না। কী করবেন এখন? ধারদেনা করে করে এখন চিকিৎসার খরচ চালাতে হচ্ছে। কুলোচ্ছে না কিছুতেই। করুণা রাণী দাসের স্বামীও বিভিন্নভাবে অসুস্থ, এবং তিনি কর্মক্ষম নন। ফলে তার ওপর নির্ভর করতে পারে না পরিবারটি, বরং উল্টো তার চিকিৎসা করাতে হয়!
বর্তমানে দিদির ডায়ালাইসিস চলছে। প্রতিমাসে খরচ হচ্ছে ত্রিশ হাজার টাকা। সম্ভব হলে আমরা তার কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করতে চাই। তার জন্য প্রয়োজন একসাথে অনেকগুলো টাকা। ষোলো কোটি মানুষের দেশ আমাদের। চাকরিজীবীর সংখ্যাও নেহাতেই কম নয়। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এগিয়ে আসলে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা সম্ভব। আমরা চাই না যে, একজন শিক্ষক টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যাক। দিদি পথ চেয়ে আছেন, আমরা বাস্তবতার ভয়ে দিদির মুখের দিকে তাকাতে পারছি না! তবু আশা রাখি, নিশ্চয় এর পরের লেখায় আমরা হাজার খানেক মানুষের নাম লিখে হাত ব্যথা করব আনন্দ নিয়ে যারা দিদির জন্য সত্যিই সাহায্যের হাত বাড়াবেন।
করুণা রাণী দাসকে সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা:
A/C Name: করুণা রাণী দাস
A/C NO: ৩৪০৬১৪৪৫
সোনালী ব্যাংক লিঃ, কচুয়া শাখা, বাগেরহাট।