মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত পুস্তক বাঁধাই শ্রমিকদের ওপর হামলাকারীদের বিচার ও তাদের দাবী পূরণের দাবীতে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন’র উদ্যোগে আজ রবিবার বিকালে পুরানো ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত একজন পুস্তক বাঁধাই শ্রমিকও ঘরে ফিরবে না বলে ঘোষণা করা হয়।
বক্তাগণ জানান, পুস্তক বাঁধাই শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে ৮ ঘন্টা কাজের মজুরি (রোজ) ২৫০ টাকা নির্ধারণের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছিল। এর অংশ হিসেবে পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে সূত্রাপুর থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রেক্ষিতে পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কচি শ্রমিক নেতাদের ফোন করে সমিতির কার্যালয়ে আলোচনার নামে ডেকে এনে হামলা চালায় এবং পরের দিন পদযাত্রায় যাওয়া শ্রমিকদের কারখানায় খুঁজে খুঁজে মারধর করে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এই সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে শ্রমিকদের উপর হামলার বিচার করতে হবে, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে এবং পুস্তক বাঁধাই শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টার মজুরি (রোজ) ২৫০টাকা, সবেতনে সাপ্তাহিক ও সরকার অনুমোদিত ছুটি, দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক জামিল ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড আ.ক.ম জহিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড উজ্জল রায়, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সূত্রাপুর থানা শাখার নেতা জাহিদুল ইসলাম খান, কমিউনিস্ট লীগ নেতা তৈয়মুর আলম অপু, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর যুগ্ন আহ্বায়ক ইকবাল কবির, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাসুদ রানা প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল লক্ষীবাজার, সুত্রাপুর, শ্যামবাজার হয়ে পুনরায় বাহাদুর শাহ্ পার্কে এসে সমাপ্ত হয়।