সকালের নাশতার স্যান্ডউইচ হোক বা বিকেলের সিঙ্গারা – সঙ্গে সস থাকা চাইই চাই। যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তারাও সালাদে ঢেলে নেন কিছুটা সস। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো, স্বাদ বাড়ানোর এই উপকরণটি কতখানি স্বাস্থ্যকর?
বেশিরভাগ সসেই অনেক বেশি পরিমাণে চিনি ও লবণ থাকে। এক বাটি সালাদ খেয়ে হয়ত ভাবছেন ওজনটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এদিকে সপ্তাহ শেষে ওজন মাপার মেশিনের কাঁটা যদি অন্য কথা বলে, তার পেছনে হয়ত কিছুটা অবদান আছে সসের।
চিনি এবং লবণ আমাদের শরীরের জন্য অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু পরিমাণটা বেশি হয়ে গেলে তা হতে পারে স্বাস্থ্যহানির কারণ। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া আমাদের সোজা নিয়ে যায় উচ্চ রক্তচাপের দিকে।
উচ্চ রক্তচাপ থেকে হতে পারে হৃদরোগ, কিডনির রোগসহ নানা ধরনের সমস্যা। আর চিনি বেশি খেলে ওজন বাড়াসহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
এক্ষেত্রে করণীয় কি হতে পারে? বাজার থেকে পছন্দের সসটি কেনার আগে বোতলের গায়ে লেখা নিউট্রিশন ফ্যাক্টসে নজর দিন। পার ১০০ গ্রাম – কলামে চোখ রাখুন। এবার দেখুন সোডিয়ামের পরিমাণ কত। প্রতি ১০০ গ্রামে যদি সোডিয়ামের পরিমাণ হয় ১২০ মিলিগ্রামের কম, তাহলে বুঝতে হবে এতে পরিমিত লবণ আছে। যদি লেখা থাকে ৪০০ মিলিগ্রাম/১০০গ্রাম, তবে ধরে নেবেন এতে রয়েছে প্রচুর লবণ।
আমাদের দেশে অনেকেই বাড়িতে টমেটো সস বানান, বাড়িতে বানানো সস খেলেই বুঝতে পারবেন বাজারের সসের সঙ্গে পার্থক্য। ঘরে তৈরি সসে চিনি, লবণ কম দেয়া হয় বলে অনেকের কাছেই তা মুখরোচক হয় না, তবে বাজারের সসের চেয়ে এটি অনেকটাই স্বাস্থ্যকর বলা চলে।
সূত্র: mytonic.com