দিব্যেন্দু দ্বীপ লিখিত বিসিএস ইংরেজি সাহিত্যের বইটি পরিমার্জন করে আবার বেরিয়েছে

BCS English Literature

বিসিএস প্রিলিমিনারি ইংরেজি সাহিত্য


৩৫তম বি.সি.এস. থেকে পি.এস.সি. যে নতুন মান বণ্টন প্রণয়ন করেছে সেখানে ইংরেজি সাহিত্যের উপর ১৫ নম্বর রাখা হয়েছে। বিষয়টি পরিক্ষার্থীদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে।

সাহিত্যের উপর পড়াশুনা এমনিতেই আমাদের কম থাকে সেখানে ইংরেজি সাহিত্যের উপর পড়াশুনা একেবারে নেই বললেই চলে। যারা ইংরেজি নিয়ে অনার্স/মাস্টার্স করছে তারা কিছুটা সুবিধা পাবে, তাও বেশিরভাগের ক্ষেত্রে খুব একটা সুবিধা হবে না, কারণ নির্ধারিত কিছু প্রশ্নোত্তর মুখস্ত করে পরীক্ষা দেওয়াই থাকে ইংরেজি সাহিত্যের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর মূল লক্ষ্য।

সার্বিক বিবেচনায় বিষয়টা বি.সি.এস. প্রিলিমিনারি পরীক্ষার্থীদেরকে যথেষ্ট ভাবনার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ইংরেজি সাহিত্যের বিশাল ভণ্ডার। কতটুকু তারা পড়বে? একটা সিলেবাস অবশ্য দেওয়া হয়েছে তবে তাতে বিশালতা মোটেও কমে না।

নতুন মান বণ্টনে এলিজাবেথান পিরিয়ড থেকে পড়তে বলা হয়েছে। তাতে ইংরেজি সাহিত্যে কতটুকুই বা বাদ পড়ে! যাইহোক, ঘাবড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই। যারা প্রশ্ন করবেন তারাও জানেন যে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে অন্ধকারে থাকা শিক্ষার্থীরা স্বল্প সময়ে কতটুকু দৌড়াতে সমর্থ। প্রশ্ন সেভাবেই করা হবে, হয়েছেও তাই। অর্থাৎ একেবারে ইন্ট্রোডাকটরি কিছু প্রশ্ন পরীক্ষায় আসবে, আসে।

ইংরেজি সাহিত্যের যুগ বিভাগ, প্রতিটি যুগের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যিক এবং তাদের উল্লেখযোগ্য সাহিত্য সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে সাহিত্যের উপর যে সিলেবাসটি পড়ানো হয় সেটির উপর চোখ বুলালে কাজে লাগতে পারে। ধরে নেওয়া যাক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের কোন শিক্ষক প্রশ্নের এ অংশটি প্রণয়ন করবেন, সেক্ষেত্রে তার অজান্তেই সিলেবাস সংশ্লিষ্ট বিষয় চলে আসা অবাস্তব নয়।

এ বইটি সাজানো হয়েছে পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং পরীক্ষার্থীদের সাহিত্য জিজ্ঞাসার আকাক্সক্ষার সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে। যতটুকু না পড়লে নয় ততটুকুই বইটিতে সংযোজিত হয়েছে। বাহুল্যতা নেই। বিগত বছরের পরীক্ষাগুলোতে সাহিত্য থেকে কী কী প্রশ্ন এসেছে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। শেষে মডেল টেস্ট দেওয়া হয়েছে যাতে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নের ধরণ সম্পর্কে ধারণা পায় এবং বাসায় বসে চর্চা করার সুযোগ পায়।