পৃথিবীতে কোনো কষ্ট ছাড়া শুধু শুভবুদ্ধি দিয়ে যেটি করা সম্ভবঃ
১. এমন কিছু বলা, যেটি মানুষের মনে সুখ এবং আশার সঞ্চার করে;
২. এমন কিছু না বলা, যা মানুষের জন্য মনঃকষ্টের কারণ হয়;
৩. ‘কেউ না’ ‘কিছু না’ হতে শেখা, যাতে মানুষ ‘কেউ’ ভাবার সুযোগ পায়;
৪. নিজের মধ্যে এমন বোধ তৈরি করা, যাতে বাইরে থেকে ঘৃণা-হিংসা-বিদ্বেষ প্রবেশ করতে না পারে;
৫. অন্যের ত্রুটিপূর্ণ প্রশংসা এবং ত্রুটিপূর্ণ ঘৃণা যাতে আমাদের বিচলিত না করতে পারে;
৬. এমনভাবে জীবনযাপন করা, যাতে পৃথিবীতে একটি মানুষও আপনাকে শত্রু জ্ঞান করতে না পারে;
৭. রাজনৈতিক উত্থান পতন, ক্ষমতার পালাবদল মানুষের মৌলিক সুখ-দুঃখ এবং মানবসভ্যতার পরিপূরক নয়। এসবের জন্য জীবন দেওয়া না-দেওয়া ব্যক্তির ইচ্ছা, কিন্তু কোনো অজুহাতেই জীবন কেড়ে নেওয়া যায় না;
৮. পৃথিবীতে প্রতিদিনের সুপেয় পানিটুক, প্রয়োজনীয় খাবারের যোগানটুকু নাও থাকতে পারতো, এক সময় ছিলো না। ফলে প্রয়োজনের বাইরে যে ফুসরতটুকু পাওয়া যায়, সেটুকু সময় যেন ভালোবেসে ব্যয় হয়, ঘৃণার নিমিত্তে নয়;
৯. জীবনে একজন মানুষও যদি আর যোগ নাও হয়, কাউকে যেন হারাতে না হয়;
১০. কেউ যেন তোমার কাছে ঠকে না যায়। কোনো-না-কোনোভাবে মানুষকে জিতিয়ে দেওয়াটা খুব জরুরী। মানুষকে হারালে মানুষ হারতে চায় না, আবার জেতালে সে জিততেও চায় না। তাহলে হারিয়ে দেওয়ার রিস্ক তুমি নেবে কেন?