ফেসবুক থেকে: ফরহাদ মজহার প্রসঙ্গে লিখেছেন কিরণ শেখর কুণ্ডু

ফরহাদ মজহার
কিরণ শেখর কুণ্ডু
লেখক

ফরহাদ মজাহার তার স্ত্রী এবং সন্তান কে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। তার চোখে মুখে শংকা। প্রিয়জনের কাছে ফিরে আসতে যে পেরেছেন সেটা হয়ত তিনি নিজেও বিশ্বাস করতে পারছেন না! অনলাইনে বেশ কয়েকটি নিউজে ছবিটা দেখে আমার মনটাও কেমন খচখচ করে উঠলো। এমন ঘটনা যেন আমার চরম শত্রুরও না হয়।

মজাহারের অনেক সঙ্গী বা তার গং এর লোকজনেরা বলতে চাচ্ছে যে তিনি ভারতে গো হত্যা সংক্রান্ত লেখার কারণে তাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছে। পুরাতন কথা বাদ দিলাম এই সেদিনও তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে নাসিরনগরে, রামুতে, পাবনায় সঙ্গবদ্ধভাবে মুসলিম ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের উপর আক্রমণ হয়েছে। এরকম একটি ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর যেখানে বিদ্যমান সেখানে তার মত লেখকেরা যখন উস্কানিমুলক বক্তব্য দেয় তার পরিণাম কি ওই সকল মানুষদের কাছে কতটা ভয়াবহ হতে পারে তিনি কি ভেবে দেখেছেন।

মজাহারের পক্ষে তো রাজনৈতিক সাপোর্ট আছে, মিডিয়া আছে, আইনী লড়াই করার মত অর্থ আছে। তারপরও দেখে মনে হচ্ছে তিনি কতটা অসহায় বোধ করছেন! অথচ তারমত জ্ঞান পাপীরা ভাবেন না তার এই বিদ্বেষ মূলক সামান্য লেখাই কত মানুষের জীবনকে অসহায়ত্বের মাঝে ফেলতে পারে! আপনার মত বুদ্ধি বেশ্যারা ভুলে যায় রাজার জীবন যেমন জীবন তেমনি মুটেওয়ালার জীবনও জীবন।

রাজনৈতিক ফায়দা লোটবার আশায় আজ আপনাদের এই পচন। স্বার্থপরতার কারণে আজ আপনি ধর্মীয় পরিচয়ের বিভেদ সৃষ্টিতে লিপ্ত। কিন্তু ভুলে যান যে তারাও মানুষ। গুজরাট কিম্বা রামু বা নাসিরনগরে যারা আক্রান্ত হয় মুসলিম, বৌদ্ধ বা সনাতনীর চাইতে বড় পরিচয় তারা মানুষ। তাদের স্ত্রী, সন্তান, পরিজন আছে। তারাও কোন কারণে আক্রান্ত হলে অসহায় বোধকরে!


কিরণ শেখর কুণ্ডু

#ফেসবুকের লেখা এবং মন্তব্যধর্মী যেকোনো লেখার দায় শুধুমাত্র লেখকের।