ফেসবুক হতে: ধর্ম পুরুষকে দিয়েছে অবাধ স্বাধীনতা

জাকিয়া সুলতানা মুক্তা বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

আমার আদরের ছোট্ট ভাইটি ইদানীং আমাকে একটা কথা দিয়েই বিবেচনা করতে শিখেছে দেখলাম—
“আমার চোখে নাকি একটা অদৃশ্য চশমা লাগানো আছে, যার কারণে নাকি আমি ধর্মীয় আচার-ব্যবহারের মাঝে অকারণেই অনেক ত্রুটি খুঁজে পাই!”
আমি রাজনীতি-অর্থনীতি-সামাজিক যে বিষয় নিয়েই কথা বলি না কেন, সেটাতেই সে একটা উগ্র ধর্মীয় বিদ্বেষের গন্ধ পায়!
আমি প্রায়শই বাকরুদ্ধ হয়ে যাই, কী বলবো ভেবে পাই না!
আচ্ছা!
আমরা কেন এ কথা ভুলে যাই যে আমরা জন্ম থেকেই একটা রাজনৈতিক আবহে বেড়ে উঠি, রাজনীতি আমাদের সব বিষয়কেই নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের সব কিছুর উপর অর্থনৈতিক অবস্থান মূখ্য একটা ভূমিকা রাখে।
আর ধর্ম কোনভাবেই রাজনীতির বাইরে কিছু না আর এর বহু কিছুতেই অর্থনৈতিক ব্যাপার জড়িত।
এখন মানুষ প্রাণীকুলের মাঝে অন্যতম একটা দূর্বল প্রাণী…একথাতেও নাকি সে ধর্মীয় বিদ্বেষের গন্ধ পায়!
আমি তা শুনে চিন্তা করি, মুখ তুলে ওর দিকে তাকাই, বোকা বোকা দৃষ্টিতে ওকে দেখি…বুঝি না কী বলবো!
তারপরে তুমুল অক্ষমতায় বিরক্তি প্রকাশ করি, কষ্ট দিয়ে কথা বলে ফেলি!
তারপর একান্তে যখন ভাবতে বসি, তখন হিসাব মেলাই আর দেখতে পাই—
আমার ছোট্ট ভাই, তাতে কী! সেতো পুরুষই!
আর ধর্ম পুরুষকে দিয়েছে অবাধ স্বাধীনতা, আর অক্ষম, অবলা, প্রবঞ্চিত, প্রতারিত নারীকে দিয়েছে কেবল সতী আমাতুল্লাহ সাজার সামাজিক বৈধ প্রক্রিয়া!
ধর্ম মানলে পুরুষের লাভের শেষ নাই, ধর্ম সৃষ্টিই হয়েছে পুরুষের ভোগ-বিলাসিতার বৈধতা দিতে!
সুতরাং সে এতে ভুল দেখলেই তার লাভে কিছু কম পড়ে যাবে!
এ কথা আমি বলবোই, না পছন্দ হোক তা আমার প্রিয় ছোট্ট ভাইটির বা অন্য কারোর!
আমার ভালো লাগা-মন্দ লাগার কথা আমি স্বাধীন মস্তিষ্কে ঘোষণা করতে চাই এবং তাইই করবো…
দু:খ লাগে মেয়েগুলোর জন্য, তারা শান্তি পায়!
না বুঝে কিংবা ভয়ে…হায়রে ভগিনীকুল!!
আমি কেবল নিস্ফল হতাশায় ছটফট করি, কেন এমন হবে? কেন?? কেন???


জাকিয়া সুলতানা মুক্তা