এ কথা আমি সর্বান্তকরণে বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশ রেলওয়ে তার সেবা প্রদান সক্ষমতার সর্বোচ্চ সীমা অনেক আগেই অতিক্রম করেছে ৷
তার কয়েক ডজন উদাহরণ আমি দিতে পারবো ৷ শুধু গতকাল (১৭/৮/২০১৭) রাতেরটা শেয়ার করি ৷ আজ রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের দুটি তৃতীয় শ্রেণির চাকরির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকায় ৷
সেজন্য কাল ৭৭০ ধুমকেতুতে আমার ভাগনীকে তুলে দিতে গিয়ে দেখি পিঁপড়ার সারির মত তরুণরা পেছনে ব্যাগ ঝুলিয়ে রেল লাইন ধরে ভদ্রার দিক হতে প্লাটফরমে আসছে৷
তিনটা অতিরিক্ত কোচ চলাচল করা সত্ত্বেও কেবলমাত্র পরীক্ষার জন্যই সর্বশেষ শোভন চেয়ারটি সংযোজনের অনুমোদন দেওয়া হয় ৷ স্বল্পসময়ে দ্রুততার সাথে তা সংযোজনের জন্য সেই রাতে ওয়াশপিটে হেড টিএক্সআর থেকে স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট সকলেই হাত লাগিয়েছে ৷
অথচ ২৫% স্পেয়ার কোচ রাখার কথা সবসময়৷ বর্তমানে তা শূন্যের কোঠায় ৷ সেটা বিবেচনায় না নিয়ে কেবলমাত্র যাত্রীচাপের কথা চিন্তা করে বর্তমান সময়ে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন পরিচালনার সাথে সংযুক্ত চমৎকার মানসিকতার কর্তা ব্যক্তিগণ এই মহান কাজটি করেছেন৷
ঠিক ট্রেন ছাড়ার পূর্বমুহূর্তে প্লাটফরমের লোক সমাগম দেখে আমার মনে হয়েছিল, প্রায় পাঁচ হাজার যাত্রী হবে ৷ এখানে আমার কয়েকটি প্রশ্ন আছে—
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় রাজশাহী৷ আমার জানামতে এই ব্যাংকের তৃতীয় শ্রেণির পদের জন্য কেবল বৃহত্তর রাজশাহী বিভাগের ছেলেমেয়েরাই আবেদন করতে পারে৷
কেবল ব্যাংকটির অনেক কর্তাব্যক্তিই নন বাংলাদেশ সরকারের বাঘা বাঘা কর্তাগণ কি পারতেন না অন্তত এই পরীক্ষাটি রাজশাহীতে হোক সেই পরামর্শ দিতে বা ব্যবস্থা করতে৷ তারা কি সেই কাজে ব্যর্থ? যদি তাই হয়, তবে তাদের ব্যর্থতার দায় কেন রেলের ওপরে বর্তাবে?
Assistant Chief Commercial Manager