রাজীব মীর এবং আরমান হোসেন সুমন, দু’জনেরই সামাজিক অবস্থান আছে, একজন তো আবার শিক্ষক ছিল! রাজীব মীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ছিল। আরমান একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাম্যান ।
বোঝার পর থেকে নারী নীপিড়ক, ধর্ষক এদের বখাটে এবং গুণ্ডা হিসেবে বুঝে এসেছি আমরা। সমাজে এরকম একটা ধারণা ছিল যে এরা বিশেষ কোনো পেশাজীবী মানুষ হয় না, এরা চোর-ডাকাতই হয়।
সময়ের বিবর্তনে সে ধারণা বদলেছে মানুষের । পেশাজীবী মানুষের মধ্যেও চোর-ডাকাত-গুণ্ডা-বদমাশ সবই রয়েছে। ঘাপটি মেরে থাকা এই মানুষগুলো বহুদিন ধরে অপকর্ম করে একদিন ধরা খায়, অনেকে আবার ধরা পড়ে না, অনেকে ধরা পড়েও পার পেয়ে যায়।
আইনের ওপর সাধারণ মানুষের হাত নেই, সাধারণ মানুষ কারো পার পাওয়াও ঠেকাতে পারে না। কিন্তু বর্তমানে সাধারণ মানুষের অসাধারণ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। সামাজিক গণমাধ্যমের কল্যানে তারা এখন একত্রিত হতে পেরেছে। শিশু নির্যাতনকারী আয়েশা লতিফকে পুলিশ গ্রেফতার না করলেও সাধারণ মানুষ তাদের মত করে বিচার ইতোমধ্যে করে ফেলেছে। এত ধিক্কার যার কপালে জুটেছে, সে স্বাভাবিকভাবে বাংলার মাটিতে আর বিচরণ করতে পারবে না, পারবে কি? আমরা তাইই চাই, কোনো অপরাধী যেন এদেশে স্বাভাবিকভাবে বিচরণ না করতে পারে।
আমরা চাই, রাজীব মীর এবং আরমান হোসেনকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হোক। প্রথমে তাদেরকে আনফ্রেন্ড করুন, এবং তাদের ছবি অপরাধনামাসহ এমনভাবে ছড়িয়ে দিন যাতে অন্য অপরাধীরা এ থেকে একটি কার্যকর বার্তা পায়।
উল্লেখ্য, শিক্ষক রাজীব মীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার সর্বশেষ কর্মস্থল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকাকালীন অনেক ছাত্রীকে জিম্মি করে যৌন নীপিড়ন করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে, এবং তাকে বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে আরমান হোসেন গত ৮ বছর ধরে তার সৎ মেয়েকে ধর্ষন করে আসছিল বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে।
সৎমেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ২ দিনের রিমান্ডে সুমন
যৌন হয়রানি; জবি শিক্ষক রাজীব মীর চাকরি হতে বরখাস্ত