তিতাস বাখরাবাদ গ্যাস সংযোগে ভয়াবহ দুর্নীতির আলামত

ইমদাদুল হক তালুকদার প্লাবন
প্লাবন ইমদাদ
কুমিল্লার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদার প্লাবনের উপস্থিতিতে (মাঝে) অবৈধ গ্যাসের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ৯ নং মজিদপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের চান্দিনা-গৌরিপুর সড়কের পাশ থেকে ‘বাখরাবাদ গ্যাস ডিসট্রিবিউশন কোম্পানী লি: এর প্রায় ২ কি.মি. অবৈধ গ্যাস সযোগ বিচ্ছিন্ন করে জেলা প্রশাসন কুমিল্লার নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদার। এসময় গ্যাস কোম্পানির প্রতিনিধি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদের সময় এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, তারা জিয়ারকান্দি গ্রামের সিদ্দিক মাস্টারের ছেলে আলমগীর (৩০), মনাইরকান্দি গ্রামের আবদুর রবের ছেলে মাহবুব (৪০), গোপালপুর গ্রামের ফজলুল হকের জুয়েল (২৯), ও আসমানিয়া গ্রামের আল-আমিন এর মাধ্যমে প্রতিটি সংযোগ ৮০হাজার থেকে এক লক্ষ ২০হাজার টাকায় বিনিময়ে নিয়েছেন। তারা নিয়মিত বৈধ রশিদ দেখিয়ে দাবী করেন, গৌড়িপুরস্থ জনতা ব্যংক, এনসিসি ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের মাধ্যমে বাখরাবাদ গ্যাস ডিসট্রিবিউশন কোম্পানী’র নামে মাসিক গ্যাস বিল বাবদ চুলা প্রতি ৮৫০ টাকা করে জমা দিয়ে আসছেন।

প্রদর্শিত রশিদ
টাকা আদায়ের এই রশিদগুলো গ্রাহকরা দেখিয়েছেন।

অভিযানের সময় এলাকাবাসী মোবাইল কোর্টের কাছে উক্ত টাকা জমা দেয়ার রশিদও প্রদর্শন করে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোবাইল কোর্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার প্রেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট আইন মোতাবেক অভিযুক্ত ৪ জন দালাল ও রশিদ বইয়ে প্রাপ্ত ২ জন গ্যাস ডিসট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট বিষয়টি এজহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, বাখরাবাদ গ্যাস ডিসট্রিবিউশন কোম্পানী লি: বলছে ব্যাংকে জমা টাকা গুলো তারা পাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, কিছু কর্মকর্তা নিজেদের নামে একাউন্ট খুলে টাকা নিচ্ছেন।
তিতাস থানার ওসি নুরুল আলম জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক মিয়া সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।


কুমিল্লা প্রতিনিধি