Headlines

দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অর্ধনগ্ন করে জিন্স প্যান্ট কাটলেন শিক্ষকরা

দাখিল মাদ্রাসা

ভোলা চরফ্যাসন উপজেলার মজিবনগর ইউনিয়নের চরমোতাহার দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অর্ধনগ্ন করে জিন্স প্যান্ট কাটা হয়। অসভ্য অচরনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। মাদ্রাসায় কি জিন্স প্যান্ট নিষিদ্ধ?

শনিবার সকাল ৯টায় মুজিবনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আ. ওদুদ মিয়া মাদ্রাসা হল রুমে স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দেয়।

অভিভাবকরা জানান, মঙ্গলবার চরমোতাহার দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক জাহাঙ্গীর, লিটন, আক্তার, হারুন হুজুর মিলে দুপুর ১.৩০ মিনিটে নামাজের পর তালিমে বসার কথা বলে সকল ছাত্রদের একটি কক্ষে নিয়ে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির ২৫ জন ছাত্রের পরিহিত জিন্সের প্যান্ট ধারালো কাঁচি (সিজার) দিয়ে কেটে দেন।

এ ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করেন। ধরালো কাচির (সিজার) আঘাতে কয়েকজন শিক্ষার্থীর শরীরে রক্ত ও ক্ষত দেখা যায়। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার মাদ্রাসার ভবনের মূল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা।

আহত শিক্ষার্থীরা হলো- মো. আক্তার, শাকিল, শামিম, হাসিব, শামিম, সুমন, নোমান, শাকিল, তারিক, মিলন, ছালাউদ্দিন, শাকিল, সোহেল, মো. শাকিল। তারা সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্র।

ছাত্রদের অভিযোগ কয়েকজন শিক্ষক কাচি (সিজার) দিয়ে জিন্সের প্যান্ট কেটে দেওয়ার প্রতিবাদ করলে তাদের মারধর করেন।

নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, মাদ্রাসার সুপার নিয়মিত মাদ্রাসায় আসেন না, ক্লাসও নেন না। এ কারণে মাদ্রাসায় ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে পাঠদান হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সহকারি সুপার জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কয়েকমাস আগে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জিন্সের প্যান্ট পড়তে নিষেধ করা হয়েছে। তাই জিন্স প্যান্ট কেটে দেওয়া হয়েছে। তবে নির্যাতন ও জখম হয়নি বলে জানান তিনি।’

মাদ্রাসার সুপার মো. ফখরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমি অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় এসেছি পরে জানাবো বলে মোবাইল রেখে দেওয়ার কারণে কোন তথ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনায় সম্পর্কে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক বলেন, ‘ঘটনার কথা আমি শুনছি, তবে শিক্ষার্থীদের প্যান্ট কেটে নির্যাতন চালানো ঠিক হয়নি। মাদ্রাসাটি দুর্গম এলাকায় অবস্থিত। উপজেলা শহর হতে দেখভাল সম্ভব হয়ে উঠে না।’