রোবাবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নবম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে যৌন প্রস্তাব দেয় সাইদুর রহমান নামের এই শিক্ষক। ওই দিনই সকল ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদার অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ছাত্রীদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্বাক্ষর নেন। স্কুল ছুটি শেষে ছাত্রীরা অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে সোমবার সকালে অফিস কক্ষে বিদ্যালয়ের সহকারি ইংরেজী শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবুলকে তারা অবরুদ্ধ করে রাখে।
অবস্থা খারাপ বুঝতে পেরে সাঈদুর কৌশলে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও অভিভাবকরা সাঈদুরকে ধরে বেদম পিটুনি দেয়। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে বা জ্ঞান হারানোর ভান করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং সাঈদুরকে ধরে নিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। সাঈদুর রহমান বাবুল কালিহাতী উপজেলার পারখী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই সাঈদুর রহমান বাবুল তাদের বিভিন্নভাবে যৌন প্রস্তাব ও অশালিন মন্তব্য করে আসছিল। বিষয়টি একাধিকবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদারকে জানানোর পরও তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানায় শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে রোববার সকালে তারা (ছাত্রীরা) ক্লাশে আসলে প্রধান শিক্ষক এসে তাদের স্কুল থেকে বের করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে সাঈদুর রহমান বাবুলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই বলে স্বাক্ষর নেয়। পরে তারা সোমবার সকালে ক্লাস বর্জন করে ওই শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে। তারা সাঈদুর রহমান বাবুল ও প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদারের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন তালুকদার জানান, তিনি ছাত্রীদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেননি। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সাঈদুর রহমান বাবুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান জানান, জড়িত শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে অভিযুক্ত সহকারি ইংরেজী শিক্ষক সাঈদুর রহমান বাবুলকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ে ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান জানান, বিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রী সাঈদুর রহমান বাবুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে। পরবর্তিতে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ওই শিক্ষককে এক বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়।
শিক্ষকরা চিৎকার করে তাদের অভিযোগ এবং ক্ষোভের কথাগুলো জানয়েছে এভাবে।
https://www.facebook.com/originalkotha/videos/1956988597934723/?t=66