ঢাকার মোহাম্মদপুরের এক বাড়ি থেকে আটক করা জামায়াতের ২৮ জন নারী সদস্য সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করছিল বলে অভিযোগ করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের একটি বাড়ি থেকে এদের আটক করা হলেও বিষয়টি পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় শুক্রবার।
পুলিশের তেজগা বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার জানিয়েছেন, তাজমহল রোডের একটি বাড়িতে এই জামায়াত কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে।
যে বাড়িটি থেকে তাদের আটক করা হয় সেই বাড়ির বাসিন্দা শাহনাজ বেগম নিজেও জামায়াতে ইসলামীর থানা পর্যায়ের নেতা। গ্রেফতারকৃত নারী সদস্যরাও জামায়াতে ইসলামীর থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।
এক সঙ্গে জামায়াতের এত নারী সদস্যের আটক হওয়ার ঘটনা এর আগে কখনো শোনা যায়নি।
আটককৃতদের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ। তবে আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। তাদের সবার বিরুদ্ধে নাশকতা এবং সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
জামায়াতে ইসলামীর একজন নেতা এবং গ্রেফতারকৃতদের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ কামালউদ্দীন অবশ্য এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, গ্রেফতারকৃতরা সবাই গতকাল মোহাম্মদপুরের ঐ বাড়িতে একটি নিমন্ত্রণে খেতে গিয়েছিলেন। তিনি যে অভিযোগে তাদের ধরা হয়েছে তার পুরোটাকেই সাজানো ঘটনা বলে বর্ণনা করেন।
উল্লেখ্য বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে দলটির প্রকাশ্য তৎপরতা প্রায় বন্ধ।
শুরুর দিকে প্রকাশ্যে বিক্ষোভের কিছু চেষ্টা সরকার কঠোর হাতে দমন করার পর দলটিকে আর সেভাবে প্রকাশ্যে কোন তৎপরতা চালাতে দেখা যায় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের কিছু সূত্র বলছে, এ অবস্থায় সংগঠনের তথ্য আদান প্রদান সহ বিভিন্ন কাজে নারী সদস্যদের কাজে লাগানো হচ্ছে। কিন্তু সেসব তৎপরতাও এখন সরকারের কড়া নজরদারিতে রয়েছে।
সংবাদ : বিবিসি বাংলা