পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও গ্রাহক হয়রানি

BREB

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচাতিা ও ঘুষ বাণিজ্যের কারণে গ্রাহকরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাট অঞ্চলের গ্রাহকেরা। নিয়মিত বিদ্যুৎ ব্যবহার ও বিল পরিশোধ করার পরও অনেকের সংযোগ কেটে দিয়ে ঘুষ বাণিজ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তবে এ বিষয়ে কর্মকর্তারা দায় চাপিয়েছেন মাঠ পর্যায়ের কর্মচারিদের ওপর।

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম, কালিগঞ্জ জোনের ডিজিএম ও এজিএম, কৃষ্ণনগর সাব জোনের এজিএম তাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারিদের সঠিকভাবে পরিচালনার মাধ্যমে গ্রাহক সেবা নিশ্চিতের পরিবর্তে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতাকে প্রশ্রয় দিয়ে বিদ্যুৎ সেক্টরে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ করছেন গ্রাহকরা। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করে তারা মানব বন্ধনও করেছে। 

বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ভেতরে এক অন্যতম প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বিআরইবি। বিআরইবি-এর আওতায় সারা বাংলাদেশে ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রয়েছে। সমিতির অন্তর্ভুক্ত জেলা ৬১ টি। অন্তর্ভুক্ত উপজেলা ৪৬২ টি। বিদ্যুৎ সেক্টরে সবচে’ বেশী বিদ্যুৎ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিরগুলো। মাসে কমবেশি ৩৫৭৫ কোটি টাকার বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে থাকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সমিতিগুলোর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অভিযোগের শেষ নেই। এ বিষয়ে ফলোআপ নিউজ-এর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন চলমান রয়েছে। ফলোআপ নিউজের করা অনুসন্ধানের উঠে এসেছে— পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর উচ্চ পর্যায়ের মূল দুর্নীতির জায়গা আসলে কেনাকাটা, লাইন সম্প্রসারণ এবং বিভিন্ন ধরনের মেরামত সংক্রান্ত কাজে। গ্রাহক পর্যায়ের দুর্নীতির সাথে জড়িত নিচের দিকের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।