বাগেরহাটে প্রায় ৫ হাজার সংখ্যালঘু পরিবার অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইনে গঠিত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তাদের হারানো সম্পত্তি ফিরে পেতে আবেদন করেছেন। সংখ্যালঘুদের হারোনো সম্পত্তি ফিরে পেতে সরকারের মহতি উদ্যোগ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা অসচেতন থাকায় এবং আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন না থাকায় বাগেরহাটের অধিকাংশ সংখ্যালঘুরা তাদের হারানো সম্পত্তি ফিরে পেতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিজেদের দুর্বল ভাবা এবং এ আইন বিষয়ে একদম ধারণা না থাকায় সম্পত্তি পুনঃউদ্ধারে তেমন কোন ভূমিকা নিতে পারছেন না সম্পত্তি হারানো সংখ্যালঘুরা। আবার অন্যদিকে দখলকারীরা নানা কৌশলে ওই সম্পত্তি তাদের অনুকূলে রাখার জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় থেকে শুরু করে জাল-তঞ্চকি সবধরনের পথ অবলম্বন করে আছে। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইনে পরিচালিত মামলার সরকারি আইনজীবী অ্যাডভোকেট লুনা সিদ্দিকী বলেন, বাগেরহাটে সংখ্যালঘুদের হারানো সম্পত্তি পুনঃউদ্ধারে গঠিত ট্রাইব্যুনালে গত ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ হাজার আবেদন দাখিল হয়েছে। আর সরকারীভাবে মোট ৯ জন আইনজীবী এ আবেদনগুলিকে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইনে মামলা হিসাবে পরিচালনা করছেন।
২০১৭ এর আগষ্ট পর্যন্ত প্রায় আড়াইশো মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। আবেদনকারীদের ওয়ারেশ সনদসহ সম্পত্তির বৈধতার প্রমানপত্র প্রদানে জটিলতা থাকায় অনেকে সম্পত্তি ফিরে পায়নি। আবার অনেকে পেয়েছেন। অবৈধ দখলকারীরা ভুয়া ওয়ারেশ সেজে, আবার ১৯৬৫ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধপরবর্তী সময়ের তহশীলদারসহ ভূমি ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিতরা সংখ্যালঘুদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তির অনুকুলে কাগজপত্র তৈরী করে নিজেরাসহ অবৈধ দখলদারদের মাধ্যমে এসব সম্পত্তি ভোগ দখল করিয়েছেন। যা পুনঃউদ্ধারে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক আন্তরিকতা জোরালো থাকতে হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এখানের একজন হিন্দু কমিউনিটি নেতা বলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া এলাকার চন্দন বাড়ী নামে পরিচিত একটি বাড়ীর সকল সম্পত্তি স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী পরিবার ভোগদখল করে আসছে। এ ধরনের অনেক সম্পত্তি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তিকরা, জোতদাররা অবৈধভাবে দখল করে আছে। ওই সম্পত্তির ওয়ারিশ দাবীদাররা আদালতে মামলা করেও সম্পত্তি ফিরে পায়নি।
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও আইনজীবী মোঃ রেজাউল করিম অর্পিত সম্পত্তি আইন বিষয়ে বলেন, ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৬৯ সালের ১৬ ফেব্রয়ারির মধ্যে তৎকালীন পুর্ব-পাকিস্তান থেকে যারা ভারতে চলে যান তাদের ফেলে রাখা সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি হিসাবে অভিহিত করা হয়। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সনে পি.ও ২৯/৭২ জারি করে সরকার শত্রু সম্পত্তি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হতে বাংলাদেশ সরকারের উপর ন্যাস্ত করা হয়। ১৯৭৪ সালে অর্পিত ও অনিবাসী সম্পত্তি আইন শত্রু সম্পত্তি সমুহকে অর্পিত সম্পত্তি হিসাবে অভিহিত করা হয়। ১৯৮৪ সালে এসে দেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন কোনো সম্পত্তি অর্পিত হিসাবে ঘোষণা করা হবে না। এরপর ২০০১ সালে জাতীয় সংসদে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন পাশ হয়। সর্বশেষ ২০০২ সালে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন ২০০১ এর ২ টি ধারা সংশোধন করা হয়।
আবার ২০১১ সালে ডিসেম্বরে এ আইনটিতে একটি সংশোধনী আনা হয়। আর এ সংশোধনীতে বিধান রাখা হয় অর্পিত সম্পত্তির দাবীদার অর্পিত সম্পত্তির তালিকা হতে সম্পত্তি অবমুক্তির আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া ট্রাইব্যুনালের পাশাপাশি জেলা কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি করার বিধান যুক্ত করা হয়। সরকারী নিয়ন্ত্রনাধীন ও সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে থাকা অর্পিত সম্পত্তির তালিকার যথাক্রমে “ক” তফশীলের বিধান সংযুক্তি করা হয়। অর্থাৎ “খ” তফশীলে উল্লেখিত অর্পিত সম্পত্তির ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের পাশাপাশি জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদনের সুযোগ রাখা হয় সংশোধনীতে। ২০১২ সালে দুটি সংশোধনী গৃহীত ও অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তি বিধিমালা জারি করা হয়। ২০১৩ তে এসে গৃহীত সংশোধনীতে “খ” তফশীল সম্পুর্নভাবে বাতিল করা হয়। “খ” তফশীলের সাথে সংশ্লিষ্ট গেজেট, কমিটি এবং মামলার কার্যক্রম সবই বাতিল করা হয় অপর এক সংশোধনীর মাধ্যমে এবং বিশেষ আপীল ট্রাইব্যুনালে বিধানকেও বিলুপ্ত করা হয়।
অথচ এসব আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন না থাকায় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী সরকারের দেয়া অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না। বর্তমান সরকারের হিসাব অনুযায়ী সারাদেশে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ একর অর্পিত সম্পত্তি রয়েছে। তার মধ্যে সরকারের দখলে থাকা প্রায় দেড় লাখ একর সম্পত্তি মূল-মালিকদের ফেরত দেয়া হবে বলে ঘোষণা রয়েছে। অপরদিকে, বেসরকারী সংস্থা এএলআরডি’র উদ্যোগে অধ্যাপক ডঃ আবুল বারকাত পরিচালিত গবেষণার তথ্য অনুসারে দেশে অর্পিত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় একুশ লাখ একর।
আর শত্রু বা অর্পিত সম্পত্তি হিসাবে যারা সম্পত্তি হারিয়েছেন তাদের ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকারীদের ফিরিয়ে দিতে অধ্যাপক আবুল বারাকাতের গবেষণামূলক সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে। সুপারিশগুলি হলো অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন ২০০১ এর যে সব অনুচ্ছেদ ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠির স্বার্থসংরক্ষণ করেনা সে সব অনুচ্ছেদ বাদ দিতে হবে। বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন (সংশোধন) আইন ২০০২ এর ৩৩ নং আইন যা ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর স্বার্থ বিরোধী সেগুলি বাদ দিতে হবে (যেমন ধারা ৯-১ এবং ১৪-১), অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইনকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে দেশ প্রেমিক-অসাম্প্রদায়িক নাগরিক সমাজের বিশেষজ্ঞ, আইনজ্ঞদের মতামত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে, অর্পিত সম্পত্তি আইনে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে সম্পদ প্রত্যার্পণের লক্ষ্যে মুল মালিক ও তার উত্তারাধিকারীদের বিস্তারিত তালিকা প্রনয়নপূর্বক তা দ্রুত প্রকাশ করতে হবে, সমস্যার প্রকৃত সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সরকারী রক্ষণাবেক্ষণাধীন সম্পত্তি মুল মালিক/ উত্তারাধিকারীদের কাছে লীজ দিতে হবে, অর্পিত সম্পত্তি আইনে অধিগ্রহনকৃত যা কিছু ৯৯ বছরের লীজ দেয়া হয়েছে সেগুলো বাতিল করে মুল মালিক/ উত্তারাধীকারীদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে, সম্পত্তি প্রত্যার্পণ বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে যেমন, অর্পিতকরণ প্রক্রিয়ায় যারা ভুমিহীন ও নিঃস্ব হয়েছে, যে সব পরিবারের প্রধান মহিলা, অর্পিতকরণের ফলে যারা বসতভিটা হারিযেছে, অর্পিত মন্দির, প্রার্থনাস্থল ও শ্মশানঘাট ইত্যাদি, তহশীলদারসহ ভুমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে সম্পত্তি দখলে রয়েছে, যে সকল ক্ষেত্রে প্রায় সকল উত্তরাধীকারী এ দেশের নাগরিক তাদের জন্য ওই সম্পত্তি মুক্ত করতে হবে। আর এ সমস্যাকে জাতীয় সমস্যা হিসাবে সরকারকে স্বীকার করতে হবে। শুধু ভোটকেন্দ্রিক ইস্যুকরণ সমস্যার সমাধানে ইতিবাচক কোন ভুমিকাই রাখা যাবে না। বিষয়টিকে জাতীয় গুরুত্ব হিসাবে দেখতে হবে যেখানে মানব উন্নয়নে সুদৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সাথে প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তি, কৃষক সংগঠনসহ বিভিন্ন স্তরের নাগরিক সমাজকে পূর্ণমাত্রায় সম্পৃক্ত করতে হবে।
২৭ বছর আগের জালিয়াতি ফাঁস: অর্পিত সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে বিপাকে বাগেরহাট সদর ভূমি অফিস
বাগেরহাটে ২৭ বছর আগে পরস্পর যোগসাযোসে সার্টিফিকেট মামলায় নিলাম ডেকে বিক্রী করা দুই একর ৪২ শতক জমি নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাগেরহাট ভূমি অফিস। ২০১২ সালে অর্পিত সম্পত্তির সরকারী গেজেট প্রকাশিত হলে সম্প্রতি এই জালিয়াতি ধরা পড়ে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে বাগেরহাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিলাম ক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে নিলাম রদের মামলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই মামলা চ্যালেঞ্জ করে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ ট্রাইব্যুনালের মামলা ঠুকেছেন ক্রয়কারীরা।
ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা আর্জি অনুযায়ী, ১৯৮৭ সালে এই জমির মালিক ছিলেন জনৈক অবরেন্দ্রনাথ ও মনিলাল দিংদের। সরকারী খাজনা পরিশোধে অপারগ হলে বাগেরহাট সদর ভূমি অফিস ডিক্রী জারি করে এই জমির বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করে এবং জমি নিলামে তোলে। কুশরাইল গ্রামের মৃত হেমায়েত উদ্দিন শেখের স্ত্রী সালেহা বেগম, ছেলে কামরুজ্জামান ও একই গ্রামের জনৈক আব্দুস সালামের ছেলে আছাদুজ্জামান উক্ত সম্পত্তি নিলামে ক্রয় করেন। সার্টিফিকেট আদালত তাদের জমির দখল বুঝে দেয়। পরবর্তিতে ঐ ক্রেতারা প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জমি ভোগ দখল করে আসছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই জমি প্রকৃতপক্ষে অর্পিত সম্পত্তি। জমির মালিক অবরেন্দ্রনাথ ও মনিলাল দিং এর কোন ওয়ারেশ কুরশাইল গ্রামে বসবাস করেন না। বাগেরহাট সদর ভূমি অফিসের একটি অসাধু চক্র নিলাম ক্রয়কারীদের সাথে পরস্পর যোগসাযসে ১৯৮৭ সালে জাল কাগজ তৈরী করে নিলাম বিক্রীর মাধ্যমে অবৈধভাবে লাভবান হয়েছিলেন। আশির দশকে বাগেরহাট উপজেলা ভূমি অফিসে চাকুরী করেছেন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী জানান, ঐ সময় এ ধরণের অনেক ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করলে তা বের হয়ে আসবে।
২০১২ সালের মে মাসে প্রকাশিত অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক সরকারী গেজেটের ৩৪ হাজার ৩২০ পৃষ্ঠায় বাগেরহাট সদর উপজেলার আড়পাড়া কুরশাইল মৌজায় তিনটি পৃথক ভিপি মামলায় বিবাদীদের মধ্যে অমরেন্দ্রনাথ নামে এক ব্যক্তি ও মনিলাল নামে পৃথক দুই ব্যক্তির নাম উল্লেখ আছে। গেজেট অনুযায়ী তাদের পিতার নাম যথাক্রমে দীনবন্ধু, কামিনিকান্ত ও জামিনি। তাদের বর্তমান ঠিকানা ভারত। এই তিনটি মামলায় মোট অর্পিত সম্পত্তির পরিমাণ তিন একর ৭৫ শতাংশ উল্লেখ রয়েছে।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে নিলাম খরিদকারী সালেহা বেগম ও কামরুজ্জামানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সাংবাদিক পরিচয় জেনে অপর প্রান্ত থেকে এক পুরুষ নিজেকে সালেহা পরিবারের আত্মীয় দাবি করে বলেন,‘আপনার কথা তাদের বলবো। এ বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। আমরা যা বলার আদালতের সামনে বলতে চাই।’
বাগেরহাট আদালতের সরকারী ভিপি কৌশলী সরদার ইলিয়াস হোসেন বলেন, নালিশী জমি নিয়ে যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তবে তা দুই পক্ষের যোগসাযোসে ঘটাই স্বাভাবিক। বিষয়টি আদালতে বিচার্য। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ এ্যাক্ট কার্যকর হওয়ায় এই আইনের ১৩ নং ধারা অনুযায়ী পিডিআর এ্যাক্টে বিষয়টি নিষ্পত্তির সুযোগ নেই।
বাগেরহাট সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আরিফুল ইসলাম বলেন, ২০১২ সালে প্রকাশিত অর্পিত সম্পত্তির গেজেটের সূত্র ধরে জালিয়াতির বিষয়টি সম্প্রতি আমাদের গোচরে আসে। এই ব্যক্তিরা সদর সার্টিফিকেট আদালতের তৎকালীন পেশকার ও স্থানীয় তহশীলদারের সাথে যোগসাযোশে এই তঞ্চকতা করেছিলেন। সরকারী স্বার্থে নিলাম রদ ও রহিত করতে পিডিআর এ্যাক্টের ২৩(২) ধারা মতে ঐ তিন নিলাম ক্রেতার বিরুদ্ধে তিনটি মিস কেস দায়ের করে নিলামের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
সরকারী ভিপি কৌশলীর বক্তব্য বিষয়ে এই ভূমি কর্মকর্তা বলেন, পিডিআর এ্যাক্ট ১৯১৩ একটি স্বতন্ত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ আইন। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইনের সাথে তা সাংঘর্ষিক না। নিলাম ক্রয়কারীরা ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। ঐ মামলা চলাকালে এই তিনটি মিস মোকদ্দমার কার্যক্রম চালাতে কোন বাধা নেই। তবে এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল উপযুক্ত আদেশ দেবেন।