ইসলাম ধর্ম, পবিত্র হজ্ব ও তাবলিগ জামাত সম্পর্কে কটুক্তির মিথ্যা অভিযোগ এনে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ভোলা আঞ্চলিক শাখার এজিএম মধুসূদন হালদারের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন ওই ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলহাজ্ব সৈয়দ হারিছুর রহমান। তার পক্ষে ভোলা জজ কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট আলহাজ্ব বশির উদ্দিন আহম্মদ। তবে ভোলার প্রসাশনের সাথে বিডিপোস্ট ডটকমের কথা হয় সেখান থেকে জানা যায় যে, মধূসুদন হালদার প্রায় দেড় বছরের অন্ত কলহের শিকার। মধূসুদন দত্তকে ফাঁসাতে ব্যস্ত একটি চক্র।
ভোলা জেলার ডিসি ওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, এটা আসলে দীর্ঘদিনের অন্তকলহের একটি বিষয়। একটি মহল মধুসুদন হালদারকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলন নামের একটি সংগঠন এর সাথে জড়িত। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলহাজ্ব সৈয়দ হারিছুর রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ভদ্রলোক ঐ মহলের সাথে এক হয়ে মধূসুদন হালদারের ফাঁসানের চেষ্টা করছে। তবে মধুসূদন হালদার বদলি হয়ে বরিশাল চলে যাওয়ায় এখন আর তার বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না।
এদিকে ইসলাম ধর্মের অবমাননার শাস্তির দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকালে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ভোলা আঞ্চলিক শাখার এজিএম মধুসূদন হালদারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঈমান আক্বদা সংরক্ষণ কমিটি ভোলা জেলা শাখা। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের মহাজন পট্টি বড় মসজিদের সামনে থেকে মিছিল শুরু করলে পুলিশ ওই মিছিলে বাঁধা দেন বলে অভিযোগ করেন কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা তাজউদ্দিন ফারুকী।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মীর খায়রুল কবির বলেন, ঈমান আক্বদা সংরক্ষণ কমিটি মিছিল করেনি। তারা মসজিদের ভেতরেই সমাবেশ করে ডিসি ও এসপির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপিটি দেওয়া হয়েছে। তার অনুলিপি আমিও গ্রহন করেছি। সে মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এজিএম’র দায়িত্বে নিয়োজিত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ফজলুল বাশার বলেন, এজিএম ব্যাংকে নেই। তিনি বরিশাল জিএম’র কার্যালয়ে গেছেন। অভিযোগের বিষয়ে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ফজলুল বাশার বলেন, গত প্রায় এক বছর আগে এজিএম মধুসুদন হালদারের সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আলহাজ্ব সৈয়দ হারিছুর রহমানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এর জের ধরেই হারিছুর রহমানের ইন্ধনে এজিএম’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি কর্মসূচি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ভোলা আঞ্চলিক শাখার এজিএম মধুসূদন হালদার বিকেলে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যারা এসব অভিযোগ করেছেন তারা এক সময়ে আমার খুব ঘনিষ্ট ছিল। সেই সুবাদে অনেক সময়েই ব্যাংকে আসা-যাওয়া করত। অনেক আবদারও ছিল। তাদের সেই আবদার রাখতে না পারায় আমার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু আমি সাম্প্রদায়িক নই।
তিনি আরো বলেন, আমি এতদিন খুব বিপদে ছিলাম। আমার জীবনও শঙ্কটাপন্ন ছিল। তাই অফিস আমাকে ভোলা থেকে গতকালই বদলি করে দিয়েছেন