মাসে কোটি টাকা বিক্রি আছে, ভ্যাট নিবন্ধিত এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুলনায় মাত্র কয়েকটা!

খুলনা

খুলনা শহর পড়েছে খুলনা কাস্টমস্ কমিশনারেটের অধীনে খুলনা ডিভিশনের ১ নং সার্কেলে। ১ নং সার্কেলের রেঞ্জ রয়েছে ৫টি। ১ নং সার্কেলে ছোট বড় প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ৭,৩০০টি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নিবন্ধিত।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভ্যাট দেয় শুন সিং সিমেন্ট কারখানা। সেভেন রিংস্ সিমেন্টের মূল প্রতিষ্ঠান হংকংভিত্তিক শুন্ শিং গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, এটি বাংলাদেশে উৎপাদন শুরু করার পর খুলনাতেও তাদের একটি কারখানা খোলে।

এর বাইরে কয়েকটি আবাসিক হোটেল এবং সুপার শপের তথ্য দিতে পারলেন খুলনা ১ নং সার্কেলের রেভিনিউ অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গির কবির।

জনাব কবিরের দেওয়া তথ্য মতে নিউমার্কেটে অবস্থিত সুপার শপ সেইফ এন্ড সেভ গত মাসে ভ্যাট দিয়েছে ৭,৭২,০০০ টাকা। এর বাইরে ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভ্যাট দেয় হোটেল ক্যাসল সালাম, সিটি-ইন হোটেল, গাজী এন্টারপ্রাইজ, ডে-৭-এর মতো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

বিস্ময়কর হলেও সত্য— উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনো স্বর্ণের দোকান নেই। এমনকি কাগজে কলমে মাসে ২০ লক্ষ টাকা বিক্রি হয়, এমন কোনো স্বর্ণের দোকান খুলনাতে আছে বলেও খুলনা কাস্টমস্ কমিশনারেট থেকে তথ্য নিয়ে জানা গেলো না। মাসে সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা ভ্যাট দেওয়ার মতো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানও খুলনাতে নেই! অথচ উৎপাদন এবং বিক্রি উভয়দিক থেকে হিসেব করলে জুয়েলারি শপে যে পরিমাণ ভ্যাট আসার কথা কোনো কোনো দোকানের ক্ষেত্রে মাসে সেটি ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা হওয়ার কথা। ১ থেকে ৫ লক্ষ টাকা মধ্যম মানের দোকানগুলোতেও ভ্যাট আসার কথা। কিন্তু পর্যবেক্ষণ নির্ভর এ তথ্য কাগজে কলমের তথ্যের সাথে খাটছে না। স্বর্ণের দোকান থেকে আসলে তেমন কিছু ভ্যাট আসছে না।

একই অবস্থা রড, সিমেন্ট, কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজ সহ অনেক ব্যবসার ক্ষেত্রে। কোরবানি ঈদের সময় কোনো কোনো ফ্রিজের দোকানে মাসিক বিক্রি কয়েক কোটি হওয়াটা স্বাভাবিক হলেও এরকম কোনো তথ্য খুলনা ১ নং সার্কেলের কাছে নেই। তথ্য গোপনীয়তার আইন রয়েছে জানিয়ে জনাব কবির বললেন, সবক্ষেত্রে আমরা তথ্য দিতে পারি না। আপনি তথ্য অধিকার আইনে কমিশনার বরাবর দরখাস্ত করলে তথ্য পেতে পারেন।