খুলনার দৌলতপুরে মিষ্টি কারিগর হিসেবে বিশেষ সুনাম ছিলো পশুপতি ঘোষ নামে এক ভদ্রলোকের। তিনি শুধু মিষ্টির জন্যই সুনাম অর্জন করেছিলেন না, ছিলেন একজন সমাজহিতৈশী মানুষও। বর্তমানে তার সন্তানেরাও একই ধারাবাহিকতায় সুবিখ্যাত মিষ্টির এই দোকানটি পরিচালনা করছেন।
এখনো অত্র এলাকার মানুষেরা মিষ্টি বলতে বোঝে পশুপতি ঘোষ ডেয়ারির মিষ্টি। বিয়ে, জন্মদিন সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মিষ্টি এবং দধি যায় এ দোকান থেকে। এ বিষয়ে ফলোআপ নিউজের সাথে কথা হয় দোকানটির অন্যতম স্বত্তাধিকারী, পশুপতি ঘোষের সন্তান বাসুদেব ঘোষের সাথে। তিনি জানান— দোকানটির ঐতিহ্য এবং সুনাম ধরে রাখতে আমরা সবসময় সচেষ্ট, তারপরেও কিছু সমস্যা হয়। অনেক সময় অযাথা হয়রানির শিকার হই আমরা। সরকারি কর্মকর্তারা অনেক সময় হয়রানি করে, একইসাথে সামাজিক এবং রাজনৈতিক কিছু বিষয়ও রয়েছে।
নন্দিত এই পশুপতি ঘোষ ১৯০৮ সালে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানাধীন দেয়াড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ছিলেন নন্দলাল ঘোষ যুবক বয়সে ১৯৩০ সালে পশুপতি ঘোষ জীবিকার খোঁজে খুলনার দৌলতপুরে আসেন। এখানে এসে তিনি মিষ্টির ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। পোশাকে-ব্যবহারে তিনি ছিলেন আপদমস্তক একজন ভদ্রলোক। সমাজের যেকোনো ভালো কাজে তিনি সবসময় সম্পৃক্ত থাকার চেষ্টা করতেন। ১৯৯৩ সালে দৌলতপুরের নিজস্ব বাসভবনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি চার পুত্র এবং অনেক গুণাগ্রাহী রেখে গেছেন। পশুপতি ঘোষ প্রকৃতির নিয়মে চলে গেলেও কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে ‘পশুপতি ঘোষ ডেয়ারি’ নামে মিষ্টির দোকানটি।