Headlines

বিচারালয়ে বসে ‘হত্যাকারীরাদের’ খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি!

নূর হোসের এবং তার সহযোগীরা নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার অভিযুক্ত আসামী। গতকাল ছিল মামলার আরেকটি শুনানীর দিন। শুনানীর ফাঁকে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি দেন বিচারক। বিচারক এজলাসেই আসামীদের খাওয়া সারতে বলেন। এ সময় এক বিতণ্ডায় জড়িয়ে ৭ খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে কাঠগড়ায় চপেটাঘাত করেছে অপর আসামি হাবিলদার এমদাদুল হক।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ মণ্ডলকে আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরার দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্নবিরতির সময় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধ্যাহ্নবিরতির সময় বিচারকের নির্দেশে আদালতের এজলাসের ভেতরেই আসামিদের খাবার সরবরাহ করা হয়। নূর হোসেনের আইনজীবী ২৩ প্যাকেট বিরিয়ানির ব্যবস্থা করেন। হাবিলদার এমদাদুল হক ২ প্যাকেট বিরিয়ানি নিজের কাছে রাখায় একজনের খাবার কম পড়ে। ওই সময় নূর হোসেন হাবিলদার এমদাদুল হকের কাছে ২ প্যাকেট খাবার নেওয়ার কারণ জানতে চান। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্ক বেধে যায়। এক পর্যায়ে এমদাদ নূর হোসেনকে চড় মারেন। পরে নূর হোসেনের সহযোগী আসামিরা এমদাদুল হককে মারধর শুরু করে। তখন পুলিশ তাদের নিবৃত করে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত প্রথম দফায় একটানা তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। এরপর এক ঘণ্টার মধ্যাহ্নবিরতি দেওয়া হলে খাবার নিয়ে ওই ঘটনা ঘটে। বিকেল পৌনে ৩টায় আবার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শুরু করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। বিকেল পৌনে ৫টায় জেরা শেষ হয়।

শনিবার মেজর (অব.) আরিফ হোসেনের আইনজীবী আবদুর রশিদ ভূঁইয়া জেরা শেষ করার পর মামলার অন্যতম আসামি লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মোহাম্মদের আইনজীবী সুলতান উজ জামান ও শাহাবুদ্দিন তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন। তবে শনিবার তারেক সাঈদের আইনজীবীরা জেরা শেষ করতে পারেননি। বিচারক মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর।

সূত্র: সিলেট টুডে।