এন্টারপ্রেনারশিপে মনে হয় চূড়ান্ত ব্যর্থতা বোঝার কোনো সুযোগ নেই। অগ্রসরতাই এক্ষেত্রে একমাত্র বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিৎ।
বিবেচনা করতে হবে উদ্যোগটি এগোচ্ছে না, পিচচ্ছে। এগোতে থাকলে ধরে নিতে হবে তা সফলতার দিকেই যাচ্ছে।
গতি বাড়ানোর চেষ্টা করা যেতে পারে, পাশাপাশি বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। তবে গতি বাড়ানোর চেয়ে প্রব্লেম সলভ্ করে এগোনাটা বেশি জরুরী।
মনে হতে পারে, টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে, কিন্তু কাজ হচ্ছে না, এই কাজ না হওয়া মানে কিন্তু লাভ হওয়া নয়, যে কোনো উদ্যোগে লাভের হিসেব করতে হবে নানানভাবে।
সেট-আপ একটা লাভ, মার্কেট তৈরি করতে পারটা একটা লাভ, পরিচিতি একটা লাভ, অভিজ্ঞতা একটা লাভ, এরকম নানান ধরনের দৃশ্যমান, অদৃশ্যমান লাভ আছে। তাই জাজমেন্ট করতে পারতে হবে।
দেখা গেল ব্যবসা (ইনোভেটিভ) শুরু করার পাঁচ বছরে কোনো লাভ হল না। উপরুন্তু অনেক টাকা বিনিয়োগ হল, মার্কেটে যার অস্তিত্ব নেই, এ থেকে আপনার মনে হতে পারে, আপনার উদ্যোগটা মার খাচ্ছে।
তা কিন্তু হয়ত না, তখন বিবেচনা করতে হবে, নির্দিষ্ট ঐ উদ্যোগটি মার্কেটে কতটুকু সম্ভাবনা তৈরি করেছে। কতটুকু পরিচিতি তৈরি করেছে। অর্থাৎ, সোস্যাল এবং মার্কেট ক্যাপিটাল কতটা দাঁড়িয়েছে।
এমন হতে পারে আপনি বিনিয়োগ করেছন দশ লাখ টাকা, বিনিময়ে আপনার সোস্যা্ল ক্যাপিটাল এবং মার্কেট ক্যাপিটাল তৈরি হয়েছে বিশ লাখ টাকার। অর্থাৎ দশ লাখ টাকা লাভ হয়েছে।
এক্ষেত্রে আপনি যদি উদ্যোগটা মার খাচ্ছে ভেবে সরে আসেন তাহলে কিন্তু ভুল করলেন।
এসেসমেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এনটারপ্রেনারশিপের ক্ষেত্রে গন্তব্যটা অদৃশ্য। এমন হতে পারে আপনি খুব কাছ থেকে ফিরে আসলেন ব্যর্থ ভেবে। ধিরে হোক আর দ্রুত হোক অগ্রসরতাই সফলতার মূলমন্ত্র, শুধু দৃশ্যমান গন্তব্য নয়। আপনি যেটাকে গন্তব্য ভেবেছিলেন, হয়ত তার চেয়ে অনেক বেশি দূরে আপনি যাবেন। পৃথিবীর বেশিরভাগ সফল উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে হয়েছেও তাই।
* বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে।