অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে নির্মূল কমিটির শোক প্রকাশ

মাহবুবে আলম
ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০


দেশের বরেণ্য আইনজ্ঞ বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।’ আজ (২৮ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের এক শোক বার্তায় বলা হয়—
‘রবীন্দ্র সাহিত্যের বিশেষ অনুরাগী, অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী রাজনীতির এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা এডভোকেট মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাভিভূত। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সর্বোচ্চ আদালতে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন মাহবুবে আলম। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের মামলায়ও যুক্ত ছিলেন মাহবুবে আলম।
‘১৯৯৩ সালের মার্চে কবি সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে ’৭১-এর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের দুঃষ্কর্ম অনুসন্ধানের জন্য যে ‘জাতীয় তদন্ত গণকমিশন’ গঠন করা হয়েছিল— এডভোকেট মাহবুবে আলম সে কমিশনের সম্পাদক মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ছিলেন। শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে সূচিত ’৭১-এর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগে ’৭১-এর গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য International Crimes Tribunal (ICT) গঠনের পর যুদ্ধাপরাধীদের মামলার আপীল শুনানীর ক্ষেত্রে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম অসামান্য অবদান রেখেছেন।
‘আমাদের সহযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে দেশ ও জাতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের একজন প্রতিভাবান আইনজ্ঞকে হারিয়েছে, যার অভাব সহজে পূরণ হবে না। আমরা তাঁর পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য, সহকর্মী ও অগণিত অনুসারীদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।’
স্বাক্ষরদাতা—
বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), ডাঃ আমজাদ হোসেন, ড. নূরন নবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সমাজকর্মী আরমা দত্ত এমপি, শহীদজায়া সালমা হক, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, অধ্যাপক আবুল বারক আলভী, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, ড. ফরিদা মজিদ, এডভোকেট খন্দকার আবদুল মান্নান, অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ডাঃ ইকবাল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল-ই এলাহী, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, এডভোকেট আবদুস সালাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আবদুল গফ্ফার, কবি জয়দুল হোসেন, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী লুৎফর রহমান, সাবেক ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, এডভোকেট আজাহার উল্লাহ্ ভূঁইয়া, সঙ্গীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী লাকী, ডাঃ মামুন আল মাহতাব, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, ডাঃ নুজহাত চৌধুরী শম্পা, লেখক আলী আকবর টাবী, সমাজকর্মী চন্দন শীল, এডভোকেট দীপক ঘোষ, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, শহীদসন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদসন্তান শমী কায়সার, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকারকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক সাব্বির খান, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমদ উল্লাহ, মানবাধিকারকর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, কবি দিব্যেন্দু দ্বীপ, অধ্যাপক সুজিত সরকার, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, এডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সমাজকর্মী পূর্ণিমা রাণী শীল, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল প্রমুখ।

সংবাদদাতা
কাজী মুকুল
সাধারণ সম্পাদক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি