জার্মানিতে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে এক নারীকে হত্যা করেছেন এক সিরীয় শরণার্থী। ওই হামলায় আরও দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চীয় এয়াইলিঙান শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্টেশনের একটি দোকানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
২১ বছর বয়সী ওই হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ওই হামলার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো সংযোগ নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পুলিশের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই নারীর সঙ্গে যুবকের ‘বিরোধ’ ছিল। এর জেরে গতকাল বিকেলে বাসস্টেশনে একটি দোকানে ওই নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেন। সিরীয় যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একাই হামলা চালিয়েছিলেন। শহরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, হামলার আগে ওই নারীর সঙ্গে তর্কে জড়ান সিরীয় যুবক। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জার্মান পত্রিকা বিল্ডকে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, নিহত নারী সম্ভবত অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
তবে ওই সিরীয় শরণার্থী কবে জার্মানিতে এসেছেন, তা জানাতে পারেনি পুলিশ। জার্মান নারীর সঙ্গে ওই যুবকের বিরোধ কী নিয়ে তা-ও স্পষ্ট নয়।
যুক্তরাজ্যের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকা এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানায়, হামলাকারী প্রায় ‘উন্মাদ’ হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি চাপাতি হাতে সড়কে ঘুরছিলেন। তখন একটি গাড়িচাপায় আহত হন তিনি।
এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে জার্মানিতে তৃতীয় দফার হামলার ঘটনা ঘটল। ১৮ জুলাই জার্মানির বাভারিয়ারই একটি ট্রেনে কুড়াল নিয়ে হামলা চালিয়ে চার যাত্রীকে আহত করে এক আফগান কিশোর। পরে পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়। ২২ জুলাই মিউনিখের বিপণিবিতানে ইরানি বংশোদ্ভূত তরুণের হামলায় নয়জন নিহত হন।
ছবি কৃতজ্ঞতা: ডেইলি মেইল, ইউকে।