টিআর-কাবিখা নিয়ে মন্তব্যে তথ্যমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ

follow-upnews
0 0
1
সচিবালয়ে আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। ছবি : ফোকাস বাংলা

এমপিরা বরাদ্দের অর্ধেক খেয়ে ফেলেন- কথাটি মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। সচিবালয়ে আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নির্ধারিত আলোচ্যসূচি শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় এমনটিই দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী।

 

মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একাধিক সদস্য এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগেই অবশ্য চিঠির মাধ্যমে তথ্যমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। তথ্যমন্ত্রীর চিঠি পাওয়ার পরে মন্ত্রিসভার প্রায় সব সদস্যই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু মন্ত্রিসভার অনির্ধারিত আলোচনায় বলেন, তিনি আসলে কথাগুলো এভাবে বলতে চাননি। সংসদ সদস্যদের তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও সম্মান করেন। এমপিদের দায়িত্ব পালন এবং ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাঁর মুখ ফসকে কথাটি বেরিয়ে গেছে।১

এ সময় প্রধানমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ক্ষমা চেয়েছেন। কিছু কথা একবার মুখ থেকে বেরিয়ে গেলে, তা আর ফেরত নেওয়া যায় না। ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে গেলে তা আর ধনুকে ফেরানো যায় না।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, তথ্যমন্ত্রী কী বলেছেন না বলেছেন সব রেকর্ড আছে। রেকর্ড যদি বেরিয়ে যায় তখন কী করবেন তিনি?

শ্রম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু এ সময় বলেন, তিনি বেশ কয়েকবার নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। এলাকার উন্নয়নে কাজ করেন তিনি। এমপি হিসেবে জীবনে এক ছটাক গমও চুরি করেননি তিনি। অথচ তথ্যমন্ত্রী বললেন, অর্ধেকই নাকি খেয়ে ফেলেছেন। তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে সবাই অপমানিত হয়েছে। তাঁর ওই বক্তব্যে সব সংসদ সদস্যই ক্ষুব্ধ।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি তো (তথ্যমন্ত্রী) নিজেও একজন সংসদ সদস্য। তিনি নিজেও একই অভিযোগে অভিযুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তাঁদের উচিত এই দুর্নীতি ও আত্মসাতের চর্চা না করে বিএনপি আমলে কী হয়েছে তা তুলে ধরা।

সবশেষে তথ্যমন্ত্রী আবারও সবার কাছে নিজ বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

Next Post

সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলেন পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলের এবং রাজ্য সরকারের সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী অবস্থানকে নিশ্চিত করে দিলেন৷ কট্টরহিন্দু্ত্ববাদী রাজনীতিকে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করা হবে বলে জানান তিনি৷ তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ মূলত শহিদ স্মরণের অনুষ্ঠান৷ ১৯৯৩ সালে যুব কংগ্রেসের বিক্ষোভ মিছিলের ওপর পুলিশের গুলি চালানোয় ১৩ জন কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়৷ […]