সংগীতকে ‘হারাম’ আখ্যা দিয়ে বাদ্যযন্ত্র পোড়ালো তালেবান

বাদ্যযন্ত্র
বাদ্যযন্ত্র
বাদ্যযন্ত্র পোড়াচ্ছে তালেবান।

আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে জব্দ করা বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দিয়েছে তালেবান সরকার। সংগীতকে ‘হারাম’ আখ্যা দিয়ে পুণ্যের প্রচার ও পাপ প্রতিরোধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

পুণ্যের প্রচার ও পাপ প্রতিরোধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হেরাত বিভাগের প্রধান আজিজ আল রহমান আল মুহাজির বলেন, সংগীত প্রচারের মধ্য দিয়ে নৈতিক অবক্ষয় হয়। গানবাজনার কারণে তরুণেরা বিপথগামী হয়ে পড়েন।

২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর থেকে তালেবান কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ধরনের আইন ও বিধিনিষেধ জারি করে আসছে। প্রকাশ্যে গানবাজনার ওপরও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

গত শনিবার শত শত ডলার মূল্যের সংগীতের সরঞ্জাম আগুনে পুড়িয়ে ছাই করা হয়েছে। বেশির ভাগ বাদ্যযন্ত্রই শহরের বিয়ের হলগুলো থেকে জব্দ করা হয়েছে। এসব যন্ত্রের মধ্যে আছে— একটি গিটার, দুটি তারের বাদ্যযন্ত্র, একটি হারমোনিয়াম, একটি তবলা এবং একটি ড্রাম। এ ছাড়া কিছু অ্যামপ্লিফায়ার এবং স্পিকারও পোড়ানো হয়েছে।

সম্প্রতি বিয়ে বা এ জাতীয় যে কোনো শুভ অনুষ্ঠানের হল মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে সেখানে কোনোরকম বাদ্যযন্ত্র না বাজানো হয়। সবরকম সংগীতকে নিষিদ্ধ করে ফতোয়া জারি করা হয়। তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে  শিল্পী ও সঙ্গীতজ্ঞরা হয়ে পড়ছে অসহায়। দেশ ত্যাগে বাধ্য হতে হচ্ছে তাদের। 

তালেবান সরকারের জারি করা বিধিনিষেধগুলোর বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছেন নারীরা। তাদের বোরকা-হিজাব ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়ার ওপর আছে নিষেধাজ্ঞা।

আফগানিস্তানে কিশোরী এবং নারীদের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের পার্ক, খেলার মাঠ এবং জিমে যাওয়াও নিষিদ্ধ। এছাড়াও সকল এনজিও-র নারী কর্মীদের কাজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে নারীদের কাছে পৌঁছানোর কাজ যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে, তেমনই যে সব দেশ ত্রাণসাহায্য দিচ্ছে, তারা তা বন্ধ করে দিতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রবল হয়েছে।