পরের দিন সকালে শ্মশান গিয়ে অস্থিও নিয়ে আসে খলিল, ফাহাদরা। হিন্দু রীতি মেনে সেই অস্থি তারা নদীতে ভাসিয়েও দেয়।
ধর্ম , অধর্মের লড়াইয়ের মাঝে মনুষ্যত্ব যে এখনও বর্তমান তার প্রমান হয়তো মহারাষ্ট্রের থানের এই ঘটনা। থানের ছোট্ট শহর মুমব্রার আলমাস কলোনির এক দল মুসলিম যুবক নিজেদের হাতে করল এক হিন্দু বৃদ্ধের সৎকার।
গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে নিজের বাড়িতেই মারা যান ৬৫ বছরের ওয়ামান কাদম। তিনি একটি ফ্ল্যাটে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতেন। বৃদ্ধের মৃত্যুর কথা তাঁর স্ত্রী সন্তান ও অন্যান্য আত্মীয়দের জানালেও কেউ আসেনি। স্পষ্ট নাকচ করে দিয়ে তারা জানিয়ে দেয় রাতে তাদের পক্ষে আসা অসম্ভব। তখনই ওয়ামানের স্ত্রী পাড়ার এই যুবকদের অনুরোধ করেন তাঁর স্বামীর অন্ত্যেষ্টিতে সাহায্য করার জন্যে। মহিলার এক কথায় এগিয়ে আসেন আট যুবক, খলিল পাওনে, ফাহাদ দাবির, নাওয়াজ দাবির, রাহিল দাবির, শাবান খান, মাসুক খান, ফারুক খান এবং মহম্মদ কাসম শেখ। তাঁরাই যোগাযোগ করেন পুরোহিতের সঙ্গে। ডাক্তার ডেকে ডেথ সার্টিফিকেটও যোগাড় করে তারা।
এর আগে ওই দিনই এই আট যুবকই তাঁদের “কাদম আঙ্কল’কে সকালে চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। সন্ধ্যাবেলা ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় বৃদ্ধকে। পরে রাতে অবস্থার অবনতি হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান ওই প্রৌঢ়। রাত তিনটের সময়ে কাছেরই এক শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে যায় ওই আট মুসলিম যুবক। শুধু মুখাগ্নি করতে সেখানে উপস্থিত হয়েছিল কাদমের এক ছেলে। বাবার মুখাগ্নি সেরেই সে চলে যায়। পরের দিন সকালে শ্মশান গিয়ে অস্থিও নিয়ে আসে খলিল, ফাহাদরা। হিন্দু রীতি মেনে সেই অস্থি তারা নদীতে ভাসিয়েও দেয়।
সূত্র: http://kolkata24x7.com