খেলাটাই ঠিক যুদ্ধ হোক -দিব্যেন্দু দ্বীপ

india-and-bangladesh-660x330

ক্রিকেট হোক আর ফুটবল হোক আন্তর্জাতিক অঙ্গনের খেলাগুলো এখন খেলার চেয়েও বেশি কিছু। দেশ বনাম দেশ যখন খেলা হয় তখন খেলার মধ্যেই একাকার হয়ে যায় ভাল-মন্দ সকল অনুভূতি। সম্ভ্রম-হিংসা-ঘৃণা সবে মিলে প্রতিযোগিতার মনোভাবটা শুধু খেলার ছলে থাকে না, বিশেষ করে দর্শকদের মধ্যে। এক্ষেত্রে কিছু দেশ অবশ্যই অগ্রগামী। উপমহাদেশে ভারত-পাকিস্তানের সাথে নতুন সংযোজন বাংলাদেশ-পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ-ভারত। এমনিতেই এসব খেলা ঘিরে রয়েছে বিশাল বিনিয়োগ, তাই অর্থনৈতিক দিক থেকে রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব এবং জনপ্রিয়তাই এক্ষেত্রে মূল পুঁজি। জনপ্রিয়তার পালে হাওয়া মিলেছে খেলার ছলে যুদ্ধানুভূতি জারি থাকায়, পাশাপাশি বাদ পড়ে না সাম্প্রদায়িকতার মত বিষয়গুলিও। ফলে এইসব খেলার দর্শক হওয়া মানে যেন অনুভূতির ঝাপি খুলে বসা। এই খেলা আসলে রক্তপাতহীন যুদ্ধ, যে যুদ্ধে যে যেতে সে পায় সব, কিন্তু যে হারে সে হারায় না আসলে কিছু।
খেলাটাকে যুদ্ধ বলা ঠিক হবে, নাকি ঐসব যুদ্ধই আসলে খেলা। রাষ্ট্রযন্ত্রের নির্মম রক্তক্ষয়ী খেলা। নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের খেলা, আভিজাত্যের দ্বন্দ্বের খেলা, ধমের্র নামে খেলা, যে খেলায় বলি হয় হাজার হাজার মানুষ, যে খেলায় জেতে না কেউ। তাই বলি আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় খেলাটাই বরং যুদ্ধের আদল পাক, যুদ্ধটা যেন খেলা হয়ে না যায়।