বিল্ড ফর নেশন‘র নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনে আপনিও সামীল হোন

গোপালগঞ্জ

কী খাইতেছেন? ক্ষুধা লাগতেছে খাইতেছেন, কিন্তু কী খাইতেছেন? রেস্টুরেন্টে ঢুকতেছেন খাইতেছেন, কিন্তু কী খাইতেছেন? একবার ভাবুন! পেটটা গুহা নয় যে, তাতে একটা কিছু ফেললেই হলো। সাবধান হোন! নইলে সমূহ বিপদ!


নিরাপদ খাদ্য মানুষের অধিকার। এটি কোনোভাবেই বিকল্প হতে পারে না। অবশ্যম্ভাবীভাবে খাদ্য নিরাপদ এবং সকল ধরনের ভেজালমুক্ত হতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্যের যোগান কীভাবে হবে সে ব্যাপারেও ভাবতে হবে। অন্যদিকে বিপণন এক্ষেত্রে একটি বড় বিষয়। বিপণন ঠিক না থাকলে পরিবহন পর্যায় থেকেও খাদ্য অনিরাপদ হতে পারে।

প্রয়োজন পরীক্ষাগার স্থাপন, যাতে সময় সময় খাদ্য পরীক্ষা করে দেখা যায়। সর্বোপরি সরকারের কর্তৃপক্ষ হতে হবে দুর্নীতিমুক্ত, যারা সত্যিকারঅর্থে ভেজাল খাদ্য বন্ধ করতে কাজ করবে। শুধু সরকার একা খাদ্যে ভেজাল এবং নিম্নমানের খাদ্যপণ্য বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে পারবে না, এজন্য দেশের মানুষ, গণমাধ্যম এবং সংগঠনগুলোকে যুক্ত করতে হবে। এ লক্ষ্যে বিল্ড ফর নেশন এগিয়ে এসেছে খাদ্যে ভেজাল নিরসনে মানুষকে সচেতন করতে। ‘বিল্প ফর নেশন’ প্রথমত কাজ করবে গোপালগঞ্জে, ধারাবাহিকভাবে এই আন্দোলনটি ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে। 

নিরাপদ খাদ্য অনেক ব্যাপক একটি বিষয়। খাদ্য মানে অনেক কিছু, শিশু খাদ্য থেকে শুরু করে সবই, তাই এটা এমন কোনো বিষয় নয় যে রাতারাতি একটা কিছু হয়ে যাবে। লাগাতার লেগে থেকে কাজটি করতে হবে। পাশাপাশি নির্ভেজাল খাদ্য কোথা থেকে আসবে সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। কৃষক পর্যায়ে কাজ করতে হবে, কৃষকদের সচেতন করতে হবে। শিক্ষিত যুবকদের সহজশর্তে ঋণ দিয়ে কৃষিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

সরকার একা কখনই দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারবে না। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমকে নিয়ে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

দেশে ত্রিশ লাখের বেশি খাদ্য ব্যবসায়ী আছেন। খাদ্যের বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে ১৮টি মন্ত্রণালয়ের ৪৮৬টি প্রতিষ্ঠান জড়িত। এ ব্যাপারে ১২০টির ও অধিক আইন ও বিধিবিধান রয়েছে। ৬৪টি জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে ৭৪টি আদালত নিরাপদ খাদ্যের জন্য কাজ করছে। তারপরও কিন্তু তেমন কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। দ্রুতই আমাদের এসব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে হবে।