এড়িয়ে চলবেন যাদেরকে

নারী

জীবনটা শুধু সফলতা বিফলতার জন্য নয়, এর বাইরেও জীবনে অনেক কিছু থাকে। প্রতিদিনের ছোট ছোট বিষয়গুলো জীবনকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে, কিছু বিষয় জীবনকে যেমন স্বস্তিদায়ক করে তোলে কিছু বিষয় আবার ক্ষতিকর, ক্ষতিটা সরাসরি আর্থিকভাবে বা সামাজিকভাবে না হলেও আত্মিকভাবে হয়।

বড় বড় মানুষের প্রতি (প্রচারিত/পদাধিকারপ্রাপ্ত) সাধারণ মানুষের এক ধরনের আকর্ষণ থাকে, ফলে তাদের কোনো আহ্বান বা আগ্রহ তারা সহজে প্রত্যাখ্যান করতে পারে না। এই সুযোগটা পদাধিকার প্রাপ্তরা কাজে লাগায়। ‘আভিজাত্য’ বলতে আমরা যা বুঝি তা মানুষ অকারণে করে এমনটি কিন্তু নয়, এক্ষেত্রে চমকে দিয়ে লোক ঠকানোর একটি অবচেতন বাসনা রয়েছে। অর্থাৎ লক্ষ্যটা হচ্ছে মানুষের কাছ থেকে সমীহ আদায় করে নেওয়া।

যতটা সম্ভব এইসব ‘ভাবে বড়’ মানুষদের এড়িয়ে চললে আপনার লাভ হবে, সময় বাঁচবে, টাকাও বাঁচবে। মনে রাখবেন এরা নিতে অভ্যস্ত, দিতে নয়। তাই এদের কাছ থেকে কিছুই আপনি পাবেন না।

কিছু মেয়ে আছে দেখবেন যারা আপনি যখন একা তখন খুব সুন্দর ব্যবহার করে, কিন্তু যখনই আরেকজন বা কয়েকজন পুরুষ এসে হাজির হবে তখন আপনাকে অবহেলা করতে শুরু করবে, অন্যদের যে খুব পাত্তা দেবে তাও নয়, তার চেতনে বা অবচেতনে চেষ্টাটা হচ্ছে পুরুষদের মধ্যে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব তৈরি করে দেওয়া। এভাবে সে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকতে পছন্দ করে। সাধারণত সামাজিক বেশ্যারা এরকমটি করে। সবাই যে তারা বেশ্যা, এমনটি অবশ্য নয়। দেখবেন যেদিকে পাল্লা ভারী সেদিকে তারা হেলে পড়ে। এভয়েড করুন যতই সুন্দরী বা গুণবতী হোক না কেন তারা।

কিছু মানুষ আছে দেখবেন যারা দূর ভবিষ্যতে বড় সম্ভাবনার কথা বলবে, কিন্তু আপনার বর্তমান সমস্যা নিয়ে আগ্রহ দেখাবে না। যেমন, ধরুণ, আপনার মা অসুস্থ সেজন্য কিছু টাকা ধার লাগবে। এমন অনেক আপনজন বা বন্ধু পাবেন যে বা যারা আপনার এ বিষয়ে আগ্রহ না দেখিয়ে আপনাকে সাথে নিয়ে বা আপনার জন্য ভবিষ্যতে কী কী  বিশাল কিছু করবে সে বিষয়ে অনেক কথা বলবে। অর্থাৎ আপনাকে হাতে রাখবে, আপনাকে দিয়ে তার কাজ করিয়ে নেবে, কিন্তু আপনার কোনো কাজে সে আসবে না। এভয়েড করুন, কারণ, বর্তমান সমস্যার সমাধান যে করে না সে বন্ধু নয়।


ব্যক্তিগত বিষয়ে যে আগ্রহ দেখায় না এবং ব্যক্তিগত বিষয়ে যে কথা বলতে চায় না সেখানে ঘনিষ্ট সম্পর্ক হতে পারে না। অনেকে দেখবেন খুব আন্তরিক, কিন্তু তার বর্তমান ঠিকানাটিই আপনি সহজে জানতে পারবেন না। এমন সম্পর্কগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।

দুঃস্থরা সব সময় উত্তরণের পথ খোঁজে। তারা এমন একটি কঠোর এবং কষ্টের জীবন-যাপনের মধ্যে থাকে যে তারা ভরসা পেলেই নির্ভর করে ফেলে। তাই সামার্থ বা ইচ্ছে না থাকলে তাদের প্রতি দুর্বল হতে যাবেন না, মিছেমিছে তাদেরকে আশ্বাস দিবেন না, অনেক সময় অবচেতনেও তাদেরকে আমরা আশ্বাস দিয়ে ফেলি, এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বেশিরভাগ মানুষ সামার্থ দেখিয়ে মজা পায়, এটা অন্যায়। আপনি দুঃস্থকে দেখাবেন, কিন্তু দেবেন না, তা হতে পারে না। যদি সত্যিই আন্তরিক হতে না পারেন, তাহলে বরং তাদেরকে এভয়েডই করুন। এটাই মন্দের ভালো।


কিছু পুরুষ আছে দেখবেন এরা শুধু বড় বড় কথা বলে, চমকে দিতে চায়। যে ধরে ফেলে তার সাথে আর মিশতে চায় না। নতুন নতুন মানুষের সাথে সম্পর্ক করতে এরা পছন্দ করে, কারণ, বুঝে ওঠার আগেই এরা কিছু উদ্দেশ্য হাসিল করে নেয়। এরা বড় বড়ু মানুষের সাথে কোনোভাবে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। সবসময় নিজেকে কাস্টমাইজ করে, কিন্তু আসলে বিশেষ কিছু করে না। এদের উদ্দেশ্য থাকে লোক ঠকানো। পুরুষদের সাথে সম্পর্ক করে চাকরি বাকরি এরকম কিছু দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য আর মেয়েদের সাথে সম্পর্ক করে চমকে দিয়ে বিছানায় নেওয়ার জন্য, এদের মধ্যে যারা বেশি বজ্জাত তারা হয় ঐ নাঈম আশরাফের মত, না হলে ছোট ছোট নাঈম আশরাফ সমাজে আছে প্রচুর। অর্থাৎ এক কথায় এরা ধাপ্পাবাজ প্রকৃতির হয়।