ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে আছে। মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯। অন্যদিকে ভারতের ১৫৫ ও পাকিস্তানের অবস্থান ১৫৬ তম।

আইটিইউ ও ইউনেসকো প্রকাশিত ‘দ্য স্টেট অব ব্রডব্যান্ড ২০১৫’ শীর্ষক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মোবাইল ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী প্রতি ১০০ জনে ৬ দশমিক ৪ জন। ভারতে ৫ দশমিক ৫ জন ও পাকিস্তানে এই হার ৫ দশমিক ১ জন। জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশনের সেপ্টেম্বরের সভায় এই তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদন অনুসারে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাড়িতে বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ আছে এমন ১৩৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১ ও এর হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ফিক্সড ব্রডব্যান্ড তালিকায় ১৮৯ দেশের মধ্যে ১৩২ তম অবস্থানে আছে। এখানে বাংলাদেশে ব্যবহারকারীর হার ১ দশমিক ২ শতাংশ। একই পয়েন্ট নিয়ে ভারত বাংলাদেশের একধাপ ওপরে অর্থাৎ ১৩১ তে। এখানেও পাকিস্তান পিছিয়ে আছে। পাকিস্তানের অবস্থান ১৩৫ আর ব্যবহারকারীর হার হার ১ দশমিক ১ শতাংশ। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ব্যক্তি ব্যবহারকারীর দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম।
ইন্টারনেটে বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মূলত সরকারের নীতিগত কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য বাংলাদেশ ইন্টারনেটের ব্যবহারে এগিয়ে গেছে। এ ছাড়া মানুষের প্রয়োজনীয় নানা বিষয়ের সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযোগ থাকার কারণে মানুষ বেশি বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন, সরকার ব্রডব্যান্ডের দাম কমিয়েছে। এতে ব্যক্তি পর্যায়েও দাম কমে আসছে। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়ছে।
ব্রডব্যান্ড কমিশনের পুরো প্রতিবেদন www.broadbandcommission.org/documents/reports/bb-annualreport2015.pdf এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে।