সবাই ঘুমিয়ে পড়ার পর বিড়ালটা রোজ এসে রান্নাঘরে গিয়ে ময়লার ঝুড়ি থেকে নেড়েচেড়ে খেয়ে নিত যা পেত। বিড়াল বলে আবার গুছিয়ে রেখে যেত পারত না, তাছাড়া ভয়কে জয় করে চুরি করে খাওয়ার পর আর কি দাঁড়ায় কোনো ‘চোর’?
ঢোকার সময় আমার দিকে দু’একবার তাকাত, আমি না দেখার ভান করতাম। বেরোনোর সময় আর দুইবার তাকাত, তারপর কানেমানে চলে যেত।
সকালে ধকলটা সামলাতে হয় রান্নার কাজটি যে করে।
ফলে এ ধারা বেশিদিন চলল না। শোয়ার আগে গৃহব্যবস্থাপক রান্নাঘরের দরজাটি আটকে দেয় এখন। ফলে বিড়ালটি এসে বসে থাকে, আর কী জানো ভাবে, আমার দিকে মাঝে মাঝে তাকায়।
আচ্ছা, ও কি ভাবে, ও কি চায়, আমি যেন দরজাটা খুলে দিয়ে ওকে ঢোকার সুযোগ করে দিই?
আমি কেন পারি না ওকে খাওয়ার ব্যবস্থাটা করে দিয়ে আবার ময়লাগুলো গুছিয়ে রাখতে?
মানবের জন্য তো করি। কেন করি? এমনিতেই যদি করি, তাহলে এই বিড়ালটার জন্য কেন করি না?
নাকি মানুষের ক্ষেত্রে অবচেতনে এক ধরনের বোধ কাজ করে যে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার একচ্ছত্র, এবং আমরা পরস্পরে বাঁচি বলে মানুষকে সাহায্য করার তাগিদটা পাই, নাকি এটা শুধু অভ্যস্ততা?