একসময়ের বিতর্কিত চিত্রনায়িকা ময়ূরী। অশ্লীল যুগের নায়িকা বলতে চায় কিছু মানুষ তাকে, যদিও বিষয়টি খুব আপেক্ষিক বলে একথা মানতে নারাজ চলচিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকে। রূপালি পর্দা কাঁপিয়ে বেড়ানো এই নায়িকা অনেকদিন ধরে আলোচনায় না থাকলে হঠাৎ তিনি আলোচনায় এসেছেন ভিন্নভাবে। গত সেপ্টেম্বরে ময়ূরীর তৃতীয় বিয়ের খবর জানা গিয়েছিল। বিয়ে নিয়ে কয়দিন পত্রপত্রিকায় খবর বের হলেও আবার হারিয়ে জান তিনি।
এবার জানা গেছে তিন শতাধিক ছবির নায়িকা ময়ূরী এখন পরহেজগার। একসময় সিনেমা ছেড়ে তিনি যাত্রা, কনসার্ট, সার্কাসের প্যান্ড্যালে নাচতেন। তৃতীয় বিয়ের পর ময়ূরী নিজেকে পুরোটাই বলদে ফেলেছেন -এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, এখন ধর্ম-কর্ম নিয়ে ব্যস্ত তিনি। পাশাপাশি তাবলিগ জামাতের সাথে নিজেকে পুরোপুরি সম্পৃক্ত করেছেন ময়ূরী।
অতীতের ভুলভ্রান্তির জন্য তওবা করে সারাজীবন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে যাবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন তিনি। ময়ূরী বলেন, “নিয়মিত নামাজ পড়ার পাশাপাশি নানান রকম নফল ইবাদত করি। এমনকি সপ্তাহের ৫ দিন রোজা রাখি। ইচ্ছে আছে আগামী বছর হজে যাব।”
ময়ূরী আরও বলেন, “বর্তমানে আমি নতুনভাবে জীবন শুরু করে বেশ সুখী জীবন যাপন করছি। আমি আমার অতীতের ভুলভ্রান্তির জন্য অনুতপ্ত। এখন জীবনের বাকিটা পথ এভাবেই ইবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়েই পার করতে চাই। আপাতত পরিকল্পনা স্বামীর সাথে এক চিল্লা তাবলিগ জামাতে যাবো। তারপর ইচ্ছে আছে হজ করার।”
ময়ূরীর কাছ থেকে জানা গেলো, তার বর্তমান স্বামী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী শফিক জুয়েল। বয়সে জুয়েল ছোট হলেও দুজনের মধ্যে বেশ আন্তরিক সম্পর্ক। আগের ঘরে ময়ূরীর এক মেয়ে রয়েছে। সেই মেয়েকে জুয়েল ভীষণ পছন্দ করেন।
ময়ূরী বলেন, “মেয়ের পছন্দে বিয়েটা করছি। এখন আমরা সুখে আছি। পেছনের সেইসব দিনের কথা আমি আর মনে করতে চাই না। এখন সামনে এগিয়ে যেতে চাই মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে।”
ময়ূরী অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মৃত্যুর মুখে’ এবং সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘বাংলা ভাই’। নব্বই দশক থেকে এ পর্যন্ত ময়ূরী অভিনীত তিনশ ছবি মুক্তি পেয়েছে। নার্গিস আক্তার পরিচালিত ‘চার সতীনের ঘর’(২০০৫) শিরোনামের ছবিতে চলচ্চিত্রাভিনেতা আলমগীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন ময়ূরী।
সূত্র: জাগোনিউজ