ডান ঘেষা বামপন্থী, বিতর্কিত লেখক বদরুদ্দিন উমর-এর এক হাত নিলেন আলী আকবর টাবী

জনাব বদরুদ্দিন উমর লিখেছেন,

বদরুদ্দীন উমর

জনাব টাবী লিখেছেন,

দলগুলোতে লেনিনের সংখ্যা বেশি

বদরুদ্দিন উমর ইতিহাসবিদ, গবেষক এবং বামপন্থী তাত্ত্বিক। তাঁর বড়ই দুঃখ এদেশে লেনিনের সংখ্যা বেশী। তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদকের ছেলে, তিনিই হবেন একমাত্র লেনিন, বাকীরা থাকবে প্রলেতারিয়েত। তিনি অভিযোগ করেছেন, “ছোট ছোট বামদলের ব্যাপারে মুশকিল হচ্ছে, এখানে লেনিনের সংখ্যা খুব বেশী হয়ে গেছে।”

সত্তরের দশকটা তাঁর কাছে বিস্বাদ এবং অপাংক্তেয়। তাই তিনি ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে প্রথম আলো পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “শুনুন, সত্তরের দশকটা বাংলাদেশের সবচেয়ে অন্ধকার যুগ।” সত্তর দশকে দেশটা স্বাধীন হয়ে গেল। এটা ওমর ভাইয়ের গাত্র দাহ হওয়ারই কথা। কারণ, এদেশটা স্বাধীন করার কথা তাঁর। হাজার হলেও তিনি হচ্ছেন দেশ বিভাগের আগে পশ্চিম বঙ্গের আইন সভার বিরোধী দলের ডাকসাইটে নেতার ছেলে। জাতির পিতা তো তাঁরই হওয়ার কথা অথচ একটা কৃষকের ছেলে হয়ে গেল জাতির পিতা!

বেকুব জনগণ, একটা কৃষকের ছেলের ‘উস্কানিতে’ ৩০ লক্ষ জান কোরবান করে দিল। অথচ তাঁর মত একটা শরীফ বংশের ছেলে জ্ঞানের বাটখারা তাঁর ডাকে দুটো লোকও জড়ো হয় না। তাই তিনি পণ করেছেন লোকে কৃষকের ছেলেটাকে জাতির পিতা মানতে পারে, কিন্তু তিনি মানবেন না। জাতির পিতা তো দূরের কথা মূর্খ জনগণের দেওয়া ‘বঙ্গবন্ধু’ বলে তাঁকে কখনো সম্বোধন করবেন না এবং তাঁর রচিত রচনা, প্রবন্ধ ও গবেষণামূলক পুস্তিকাতে ‘বঙ্গবন্ধু’ লিখবেন না।

তবে বামপন্থী আন্দোলনে উমর ভাই সার্থক। তিনি বিভ্রান্তিমূলক তত্ত্ব দিয়ে বামদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত করেছেন, অর্থাৎ লাল ঝান্ডা দিয়ে লাল ঝান্ডা ঠেকিয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধসহ সকল প্রগতিশীল আন্দোলনে আটা লাগিয়েছেন। আটা লাগানোর গল্পটা সম্ভবত সবার জানা আছে।