স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের ৩০ লাখ মানুষ শহিদ হন৷ বহু গণহত্যা সংগঠিত হয়৷ সরাসরি যুদ্ধে নয়, তবে যুদ্ধের ফলে নিহত হয়েছেন এমন সংখ্যা ধরলে সেটি হয়ত ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। ছোট্ট একটি দেশে মাত্র নয় মাসে এত মানুষকে হত্যা করতে হলে কতটা ভয়াবহ তাণ্ডব চালাতে হয়, তা সহজেই অনুমেয়।
এত বড় গণহত্যা পাকিস্তানী বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসরদের দ্বারা ১৯৭১ সালে এই বাংলায় সংগঠিত হলেও এখনও মেলেনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। কেন?
কারণ, ১৯৭১ সালে সংগঠিত গণহত্যার ওপর তথ্যভিত্তিক কোনো ইতিহাস আমরা এতদিনে নির্মাণ করতে পারিনি। সেই কাজটিই শুরু করেছে গণহত্যা জাদুঘর। আরও সুক্ষ্মভাবে বললে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের নেতৃত্বে একদল তরুণ গবেষক গুরুত্বপূর্ণ সেই কাজটি করছে—যা বিভিন্ন কারণে এতদিন করা হয়নি। এ গবেষণায় উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য, দেখা যাচ্ছে, এক একটি জেলাতেই সংগঠিত হয়েছে শত শত গণহত্যা।
বিশটি জেলায় গণহত্যা জরিপের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রচলিত ধারণা ছিল ১৯৭১ সালে সারা দেশে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছিল সহস্রাধিক। বিপরীতে যেখানে বিশটি জেলাতেই গণহত্যার সংখ্যা পাওয়া গেছে ৫১২১টি, অন্যান্য সকল জেলার কাজ শেষ হলে সংখ্যাটি কত বড় হবে তা সহজেই অনুমেয়। এ বিষয়ে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, “এক একটি গণহত্যায় গড়ে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ফলে সংখ্যাটি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।”