আমলাতন্ত্রের গালে তীব্র চপেটাঘাত – মন্তব্য করেছেন আলী আকবর টাবী

মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা আগে লেখা মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের চিঠি ‍”আমাকে যেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা না হয়” এর প্রেক্ষিতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আকবর টাবী মন্তব্যটি করেন।

উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন শেষ যাত্রার আগে একটি চিঠি লেখার ইচ্ছা পোষণ করেন, সেখানে তিনি লেখেন ‍”জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হঠাৎ যদি আমার মৃত্যু হয়, আমাকে যেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন না করা হয়। কারণ এসিল্যান্ড, ইউএনও, এডিসি, ডিসি যারা আমার ছেলেকে চাকরিচ্যুত, বাস্তুচু্্যত করে পেটে লাথি মেরেছে, তাদের সালাম-স্যালুট আমার শেষযাত্রার কফিনে আমি চাই না। ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করিও। “

হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম (এমপি) বরাবরে এমন একটি চিঠি লেখার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসমাইল হোসেন। 


“এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাওয়ায় শ্রেষ্ঠ সময় তার” এই অমোঘ বাণীকে ধারণ করে দেশকে স্বাধীন করার জন্য যৌবনে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন ইসমাইল হোসেন। এই ধরণী থেকে শেষ বিদায় বেলায় সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা তারই স্বাধীন করা রাষ্ট্রের আমলাতন্ত্রের গালে তীব্র চপেটাঘাত করে গেলন।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অনিয়ম নিয়ে হুইপের কাছে অভিযোগ করায় এবং তার স্ত্রীর অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধুর মাংস পাক ভাল হযনি আভিযোগে চাকরিচ্যুত করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।

তাই ক্ষোভে দুঃখে মৃত্যুর ২৪ ঘন্টা আগে হুইপের কাছে লেখা মর্মভেদী চিঠিতে তিনি লেখেন–

“জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হঠাৎ যদি আমার মৃত্যু হয়, আমাকে যেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন না করা হয়। কারণ এসিল্যান্ড, ইউএনও, এডিসি, ডিসি যারা আমার ছেলেকে চাকরিচ্যুত, বাস্তুচ্যুত করে পেটে লাথি মেরেছে, তাদের সালাম-স্যালুট আমার শেষযাত্রার কফিনে আমি চাই না। আমার ভুল ত্রুটি ক্ষমা করিও।”

আলী আকবর টাবী