স্বীকৃতি বড়ুয়া, ৩১শে আগস্ট ২০২৩, নিউইয়র্কঃ সম্প্রতি প্রবাসে বিভিন্ন সভা সমিতির বক্তব্যে এবং ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধীদের কার্যকলাপে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের নেতৃবৃন্দ। এক বিবৃতিতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন সভায় বঙ্গবন্ধু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের দোসররা অশালীন ও অসভ্য ভাষা প্রয়োগ করে বক্তব্য দিচ্ছে ও মন্তব্য করছে, যা মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবজ্ঞা ও অশ্রদ্ধা প্রদর্শন বলে আমরা মনে করি। আমরা আরো মনে করি, যেসব কুলাঙ্গাররা প্রবাসে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের প্রতিরোধ ও দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আর জানান, লক্ষণীয় বিষয় হলো কিছু কিছু তথাকথিত প্রগতিশীল নামধারী ব্যক্তিদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে সেইসব স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও ৫ লাখ মা বোনদের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে এবং আগামী নির্বাচনকে নিয়ে বিদেশের মাটিতে বসে তারা নতুন নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। সময় এসেছে স্বাধীনতার সপক্ষের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার এবং তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার।
সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাইদীর মৃত্যুতে কিছু কিছু মুখোশধারি মৌলবাদীদের মুখোশও উন্মোচন হয়েছে, তাদেরকে চিনে রাখতে হবে এবং সর্বত্র বয়কট করতে হবে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের সভাপতি ফাহিম রেজা নূর ও সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়াসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা আরো মনে করেন— একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের আন্তর্জাতিক কোর্টের রায় অনুযায়ী বিচার ও রায় কার্যকর হয়েছে এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারও হয়েছে। দেশে ও প্রবাসে কোনো অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধু খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের অনুসারী বা দোসরদের ষড়যন্ত্রের সুযোগ দেওয়া যাবে না, তাদের প্রতি চরম ঘৃণা প্রকাশ করে সর্বত্র তাদের বয়কট করতে হবে।