Headlines

ছাত্রলীগের আগাছা তুলে ফেলতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে জমিতে আগাছা আছে সে জমিতে ফসল হয় না। আগাছা তুলে ফেলতে হয়। আগাছা তুলে ফেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কর্মী হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।

সোমবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটিকে মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন ছাত্রলীগকে। তৎকালীন ছাত্রলীগই ‘জয় বাংলা’ কে বাংলার জয়ধ্বনি হিসেবে জনমানুষের কাছে ছড়িয়ে দিয়েছিলো।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ত্যাগ, অবদান এবং বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গমাতার সহযাত্রী হওয়ার কথা তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রাবস্থায় পাকিস্তান আন্দোলন থেকেই বাবা রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তবে পাকিস্তান জন্মের পর বাংলার প্রতি বৈষম্য দেখে বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে হবে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সব সময় বাবার সাথে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে পরিবারের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিলেন।

‘৫৪’ ৫৬ সালে বাবা মন্ত্রী থাকাকালে অনেকবার করাচী গেলেও মা যাননি কখনো। কারণ মা জানতেন বাবার মনের কথা। মায়ের কাছেই শিখেছি কিভাবে সংসার- সংগঠন চালাতে হয়। বঙ্গমাতা খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন, পরিবারের সবাইকে তা-ই শিখিয়েছেন।’

বড় মেয়ে হিসেবে মা-বাবাকে খুব কাছ থেকে দেখার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ৬ দফার সময় বাবা বন্দি হলে দেওয়া হয় আগরতলা মামলা। ওই মামলায় মাকেও জড়াতে চেয়েছিলো পাকিস্তানের গোয়েন্দারা।

দেশ ও দলের প্রতিকূলতায় বঙ্গমাতা ছিলেন সাহসী-প্রত্যয়ী। স্বামী কারাগারে থাকলেও সংগঠন সামলেছেন পরিবারের মতো করে। এমনকি মোশতাকের স্ত্রীকেও বাজারের পয়সা দিতেন তিনি। আর সেই মোশতাকই খুনিদের সাথে হাত মিলিয়ে বেঈমানী করেছিলো, সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুকে। একযোগে তিনটি বাড়িতে হামলায় চালিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, নারী, শিশুদের হত্যা করা হয়েছিলো সেদিন।

সূত্র: চ্যানেল আই