খবর
শ্রমিকদের কাছে ২০ হাজার টাকা ভাড়া নেন ট্রাকচালক
যে প্রশ্নগুলো উঠে অাসে
১. ঈদের পাঁচদিন আগে থেকে অপচনশীল পণ্যের ট্রাক রোডে চলা নিষেধ। তাহলে ট্রাকটি কীভাবে রাস্তায় চলছিল?
আইন অনুযায়ী এই সময় ট্রাকটি যদি রাস্তায় না চলত তাহলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটত না।
২. ঢাকা থেকে রংপুর দীর্ঘপথ, এতপথ পাড়ি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে কীভাবে গন্তব্যে পৌঁছা সম্ভব?
অর্থাৎ টাকা খেয়ে অথবা দায়িত্বে অবহেলা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ট্রাকটি ছেড়েছে। এত দীর্ঘপথে ট্রাকটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো না কোনো ইউনিটের চোখে পড়েছেই।
৩. ট্রাকে মানুষ এবং বাসের ছাদে মালামাল পরিবহন নিষেধ। তাহলে ঐ ট্রাকে কীভাবে যাত্রীরা সওয়ার হল?
৪. ট্রাক চালাচ্ছিল হেলপার, ড্রাইভার ঘুমাচ্ছিল, এরপর হল দুর্ঘটনা। হেলপার কেন গাড়ি চালাবে? চালালে রাতের আন্ধারে সেটি ঠেকাবে কে?
৫. সিমেন্টের ক্রেতা এবং দোকানদার উভয়ই জানে যে এই সময় রাস্তায় মানুষের অস্বাভাবিক চলাচল থাকে তাহলে তারা আইন মেনে বা শুধু দায়িত্ববোধ থেকে এই সময় সিমেন্টের মত একটি অনত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বেচাকেনা বন্ধ রাখল না কেন?
৬. নিহত এবং আহত যাত্রীরা পোশাক শ্রমিক। তারা যে পোশাক কারখানায় চাকরি করে সে মালিক কি দায় এড়াতে পারে? সময়মত ছুটি দিলে, বোনাস দিলে শ্রমিকদের ট্রাকে করে যেতে হত না, দুর্ঘটনাও ঘটত না। ঐ মালিক কি তাদের সময়মত ছুটি দিয়েছে, ঈদ-বোনাস দিয়েছে?