রাকিবুল ইসলাম বাপ্পী, কচুয়া প্রতিনিধি
অস্ত্রের মুখে জিম্মিকরে স্কুল-ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মসনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ এলকার অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী। আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কচুয়া উপজেলার মসনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অয়োজনে বাধাল বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের পাশাপাশি মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক সমাজ। অংশগ্রহণ করেন কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা ছরোয়ার, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজিবুল হক নজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বাধাল ইউপি চেয়ারম্যান নকিব ফয়সাল অহিদ সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ছাত্রীটির ওপর যে নির্যাতন হয়েছে তা মধ্যযুগীয় নির্যাতনকে হার মানায়। এরকম ঘটনা এ এলাকায় পূর্বে ঘটেনি। আমাদের মেয়েরা এখন আর কেউ নিরাপদ না। ধর্ষণকারীদের দ্রুত বিচার আইনে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার আহ্বান জানান তারা। বক্তারা আরও বলেন, সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের অভাবে দেশের সকল প্রান্তে একটি বখাটে শ্রেণি তৈরি হয়েছে, অনেক সময় এরা প্রভাবশালীদের কাছ থেকেও ছত্রছায়া পাচ্ছে। আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি গ্রামভিত্তিক এবং ইউনিয়নভিত্তিকভাবে সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং বখাটে শ্রেণি প্রতিরোধে নানান শ্রেণি পেশার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে বলে মনে করেন বিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২) দিনগত রাতে কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নের কলমিবুনিয়া গ্রামে মসনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীর গলায় ছুরি ধরে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে পালিয়ে যায় একই এলাকার দুষ্কৃতিকারীরা। এজাহারে অভিযুক্ত হয়েছে ওই এলাকার কাদের মোল্লার ছেলে এজাজুল মোল্লা (২২), আজাহার শেখের ছেলে সোহেল শেখ (২২), ইউসুফ শেখের ছেলে টিপু শেখ (২৫), বারেক মোল্লার ছেলে সজিব মোল্লা (২৫)। মেয়েটি বর্তমানে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।