কৈফিয়ত নেই কিছু আর বাকী // দিব্যেন্দু দ্বীপ

বিশ্বজিৎ হত্যা

বিশ্বজিৎ হত্যা

 

 

 

 

 


“২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের ৯ তারিখ রবিবার সকাল ৯টায়

রাজনৈতিক সংগঠনের কমীর্রা বিশ্বজিৎ দাসকে বিনা কারণে

প্রকাশ্য-দিবালোকে শত শত মানুষ ও আইনরক্ষা বাহিনীর সদস্য

এবং সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করে।”

বিশ্বজিৎ কি হত্যাকারীদের মা-বোনকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছিল?

করেনি।

তাহলে?

কেন ওরা মারল এভাবে ওকে?

হত্যাকারীরা কি পাকিস্তানি হানাদার ছিল?

না।

তাহলে?

কারা মারল ওকে?

হত্যাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল।

এরাই তো আমলা, পুলিশ, বিচারক হয়!

নাকি?

দেশটা তাহলে খুনের দেশ?!

খুনির দেশ?!

কী ভেবেছিল বিশ্ব সেদিন?

আমি ভেবেছিলাম, নারকীয় বিভৎসতা দেখে

এই বুঝি ছাত্র রাজনীতি নীড়ে ফিরবে।
এসব দানবেরা মানুষ হওয়ার অজুহাত পাবে।
হয়েছে কি কিছুই?

দানবেরা ঠিকই আছে ধর্মে-বর্মে;
ঢাবি, জবি, জাবি, চবি, রাবি সবখানে মেতে।

এরাই আবার কেক কাটে, বড় হলে মন্ত্রী হয়ে কাটে লাল ফিতে!

rana plaza

 

 

 

 

 


“২৪ এপ্রিল ২০১৩, সকাল ৮:৪৫—

সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে।”

সেদিন কি ভূমিকম্প হয়েছিল?

ভারি বোমা নিক্ষেপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ভবনটিতে?

না, এসব কিছুই না।

তাহলে?

বিশাল একটি আটতলা ভবন কাঁপতে কাঁপতে

ধ্বসে পড়েছিল কয়েক হাজার কর্মরত পোশাক শ্রমিকের উপরে!

কী ভেবেছিল বিশ্ব সেদিন?

আমি ভেবেছিলাম– এই বুঝি মানুষ জেগে উঠবে,

ধ্বংসের চূড়া দেখে দানবের কাঁধে সওয়ার হবে পিষ্টে।

হয়েছে কি কিছু?

দানবেরা ঠিকই আছে ধর্মে-বর্মে;
শেরেবাংলানগরে, ধানমন্ডি, গুলসান, বনানীতে মেতে।

এরাই আবার গণতান্ত্রিক— মানুষ মরছে,

এরা তখন খুলছে আলগোছে প্রতিবেশীর পেটিকোটের ফিতে!