শিক্ষক কর্তৃক অপমানিত হয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা

follow-upnews
0 0

নাটোরের সিংড়ায় স্কুলে জুতা পরে না যাওয়ায় বের করে দেওয়ার অপমানে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের পরিবার এ অভিযোগ করেন। রবিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সিংড়া পৌরসভার দমদমা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে পরিবারের দাবি অস্বীকার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ এটাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বলছেন। এদিকে পুলিশ বলছে, তদন্ত শেষেই প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
নিহত সাবিনা ইয়াসমিন রিয়া (১২) দমদমা এলাকার চকসিংড়া মহল্লার গোলাম রাব্বানীর মেয়ে এবং দমদমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
সাবিনার বাবা গোলাম রাব্বানী দাবি করেন, রবিবার সকালে মেয়ে স্কুলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই বাসায় ফিরে আসে। কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বলে, স্কুল ড্রেসের সঙ্গে সে জুতা পরে যায়নি, তাই জুতা পরে আসার জন্য তাকে শিক্ষক বাড়িতে চলে যেতে বলেছেন। এরপর তিনি তার মেয়েকে জুতা পরে স্কুলে যেতে বলে বাড়ি থেকে কাজের জন্য বের হন। তিনি বাইরে যাওয়ার পরেই তার মেয়ে নিজ ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেয়। পরিবারের লোকজন অনেক চেষ্টার পর জানালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে নিজ ওড়নার সঙ্গে সাবিনার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে সিংড়া থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। মেয়েকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার অপমানেই সাবিনা আত্মহত্যা করেছে বলে তিনি দাবি করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে সাবিনার শ্রেণি শিক্ষক আবু হাসান জানান, প্রতিদিনের মতো রবিবারও ক্লাস শুরুর আগে অ্যাসেম্বলি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ৭-৮ জন শিক্ষার্থীকে পূর্ণ ইউনিফর্ম না পরেই স্কুলে এসেছে দেখতে পেয়ে তাদেরকে সতর্ক করে দেন প্রধান শিক্ষক বিলকিস আক্তার বানু। পরে সাবিনা ক্লাসে আসার পর অন্যদের মতো তাকেও বাড়ি থেকে জুতা পরে আসতে বলা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্যরা ক্লাসে ফিরে আসলেও সাবিনা ফিরে আসেনি। পরে তার আত্মহত্যার বিষয়টি জানতে পারেন তারা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলকিস আক্তার বানু জানান, যারা জুতা পরে আসেনি তাদেরকে জুতা পরে আসতে বলা হয়েছে মাত্র। এক্ষেত্রে কাউকে কোনও বকাঝকা বা অপমান করা হয়নি। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বাড়ি গিয়ে জুতা পরে ক্লাসে ফিরে আসলেও সাবিনা কেন আত্মহত্যা করেছে তা তাদের বোধগম্য নয়। এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনা বলে দাবি করেন তিনি।
সিংড়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় এখনও কোন মামলা দায়ের হয়নি। মামলা হলে তদন্ত শেষে সাবিনার আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।


খবর: বাংলাট্রিবিউন

Next Post

কৈফিয়ত নেই কিছু আর বাকী // দিব্যেন্দু দ্বীপ

          ১ “২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের ৯ তারিখ রবিবার সকাল ৯টায় রাজনৈতিক সংগঠনের কমীর্রা বিশ্বজিৎ দাসকে বিনা কারণে প্রকাশ্য-দিবালোকে শত শত মানুষ ও আইনরক্ষা বাহিনীর সদস্য এবং সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করে।” বিশ্বজিৎ কি হত্যাকারীদের মা-বোনকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছিল? করেনি। তাহলে? কেন ওরা মারল […]
বিশ্বজিৎ হত্যা