হ, তুমি নারী
জগতে তুমি হইলা গিয়া সৌন্দর্যের
অধিষ্ঠাত্রী দেবী।
প্রেমিক,পুরুষ আর কবি
কত না সোন্দর সব উপমায়
তুমারে দিছে তুলনা নিরবধি।
তুমি চাঁদ,তুমি ফুল,তুমি নাকি নরম নদী
দ্যাখে নাই তারা কেউ ক্যামনে সে নদীর
ঢেউ গিয়া কূলহীন কষ্টের সাগরে
আজীবন ধইরা খালি সাঁতরায়া মরে।
গুণীজন তুমারে দিছে কত না উপাধী
তুমি হইছো সোয়ামীর স্বপ্নচারিনী।
আমিও যে নারী হইয়া এক,
নারীর মনের গহীনে দিয়া ঝাঁপ
দেইখা আইছি ভালো কইরা
তার জীবনের সব মর্মন্তুদ কাহিনী।
ওগো নারী,শোনো তবে বলি,
যদিও ধরায় তুমার মানবজন্ম হয়
তথাপি সমাজ তুমারে পরথমে
ক্যাবল এক নারীই বানায়।
যতনা বিদ্যা-বুদ্ধির হও অধিকারী
“না বুইঝা বেশি কতা কওন তুমার স্বভাব”
এই খোটা জনমভর শুনবাই তুমি।
হয়তো নিয়তি তুমার, অভিশপ্ত তুমি
তুমিও য্যান স্বর্গ থেইকা বিতাড়িত
একজন ফুল্লরা দেবী। হ,
এক একজন নারী য্যান এক একজন ফুল্লরা
তাদের জীবনগাঁথাও হইলো দুঃখের বারমাইস্যা।
জিয়ন্তে নারীর জীবন এক জলন্ত চুলা
ভিজা কাঠকয়লার মতন তাতে
জ্বলাই হইলো নারীর বাঁইচা থাকা।
হ, তুমি নারী
রুপের শোভার ম্যালা জয়গান
শুনবা গো জানি
তয় যে পুইড়া পুইড়া ভিতরে খাক হও তুমি
কও দেখি ক্যাডায় জিজ্ঞাসে তুমারে কোথায়
ক্যামন সে ঘাঁও? কতখানি?
কেউ নি শুধায় তুমারে গো শুনি?
না বলা ব্যথার ভারে তুমি
নারী বুক ফাইটা মর নি?
কেউ না জিগায় সে কথা তুমারে জানি
কোথাও যে তুমার কেউ নাই গো নারী!
কঠিন সত্য এক অন্তরে আইজ
বাইন্ধা রাখো তুমি, তুমার এক
খালি তুমি আছো এই দুনিয়াত।
তুমি হইলা আজন্মের অভাগী
তুমি নারী পোড়াকপালী।
বুকের গভীরে তুমার গুমরায়া মরে
শতেক বেদনার বাঁশির সুর অহর্নিশি।
তাই না বুইঝা বেশি কতা তুমি তো
কইবাই নারী , এ আর এমন কী!