নিয়তি
খালের ওপারে একা দাঁড়িয়ে থাকা বুড়ো কাঁঠালগাছটা সাক্ষী-
পাখিরাও যখন গাছটির শাখায় সুখের ঘর বেঁধে পারেনি,
এক জোড়া নাবালক-নাবালিকা
গাছটির ছায়ায় সুখের সময় কাটিয়েছিল।
এক এক দিন কোনো কথা হতো না,
নিরব কাঁঠালগাছটার মতোই
চুপচাপ তারা চেয়ে থাকত একে অপরের দিকে।
মাঝে মাঝে এতো কথা হতো যে,
নির্জন খালের পাড়টাকে আর নির্জন মনে হতো না।
কখনো কখনো বালিকা একাই কথা বলতো,
বালক আনমনে তাকিয়ে থাকতো তার দিকে।
এক এক সময় বালক গাইত গান,
বালিকা পুলকের সাথে শুনতো।
কাঁঠালগাছটাও হয়ত তাদের কথা শুনেছিল,
গানের সুরে শাখা দুলিয়েছিল,
হয়ত কিছু ভাল সময়ও কাটিয়েছিল।
এভাবে লগাছটার একাকিত্ব তবু দূর হয়েছিল।
আজ সেই নাবালক আর নাবালক নেই,
সেই নাবালিকা আর নাবালিকা নেই।
তারা আজ একে অপরের জীবনসঙ্গী,
ওরা ইতোমধ্যে জীবনের অনেকটা পথ একসাথে পার করেছে,
এক সন্তানও আছে। মস্ত বড় অফিসার সে!
গাছের তলায় বসে সময় কাটানোর মতো সময় তার নেই,
তবে আজ বুড়ো কাঁঠালগাছের প্রতি তার দৃষ্টি পড়েছে।
কয়েকজন লোক নিয়ে উপস্থিত হয়েছে খালের ওপারে,
কাঁঠালগাছটার ছায়ায়।
বাবা-মায়ের পঞ্চাশতম বিবাহ-বার্ষিকী আজ,
অনুষ্ঠানে কাঠের যে অনেক প্রয়োজন!