চলছে অমর একুশে বইমেলা।
যতই দিন বাড়ছে, ততই মানুষের ঢল বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হচ্ছে। কিন্তু একটি প্রশ্ন— কতজন বই কিনছে?
উত্তরটি পাওয়া খুব কঠিন নয়। একটু চোখ রাখলেই দেখা যাবে— গড়ে ৯০ভাগ মানুষই বই কিনছে না।
তাহলে বাকিরা কী করছে? ঘোরাফেরা করছে, চটপটি-ফুচকা খাচ্ছে, সেলফি তুলছে।
আবার বই কিনছে যারা— তাদের মধ্যে কতজন ঘর সাজানোর জন্য কিনছে, আর কতজন পড়ার জন্য কিনছে?
এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সহজ নয়, সম্ভবও নয়। তবে এটা তো বোঝা যায় যে, অন্তরলব্ধ হয়ে একটা বই পড়া জাতি কখনও এমন হতে পারে না— এতটা দুর্নীতিপরায়ন বা এতটা নিষ্ঠুর হতে পারে না— কাউকে কুপিয়ে মারতে পারে না।
সবাই চেষ্টা করছে জনপ্রিয় লেখকদের বই কেনার। সেক্ষেত্রে নতুন কিন্তু ভাল লেখকদের বই বিক্রি হচ্ছে না বা যথাযথ মূল্যায়ন হচ্ছে না।
আবার সবাই পছন্দ করছে গল্প, উপন্যাস, চটুল কৌতুকধর্মী ইত্যাদি বিনোদনমূলক বই কিনতে। তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু সবচেয়ে বেশি চলছে রান্নার এবং মোটিভেশনাল মার্কা বই!
তাহলে, কাব্যের কী হবে? পরিণতি কী হতে চলেছে? নতুন কবিদের কথা কিছু নাই-বা বললাম, বিখ্যাত কবিতার বইগুলোও তো তেমন চলে না। কবিতার প্রতি এই অনিহার কারণ কী?
বইমেলা আমাদের সামনে সব ধরনের বই-ই হাজির করে, অনেক হাবাজাবা বইও আসে সত্য; ভালো বইও তো আসে, কিন্তু আমরা তা গ্রহণ করি না। গ্রহণ করতে পারি না।