Headlines

“প্রিয়তম” কাব্যগ্রন্থ থেকে কবিতা

প্রিয়তম,
আমাকেও তুমি কিছু খাতির করো
শুধু সভ্যতার প্রতি এখনো
তোমার কিছুু দায় আছে বলে।
আমি বুঝি প্রিয়তম,
বীজ তোমার কাছেও মূল্যবান ঠিকই,
কিন্তু সে শুধু আগামীতে ফসল ফলাতে।
এখন তোমার পুষ্টিকর ফল প্রয়োজন।

 

প্রিয়তম, তোমার নিষ্পাপ মিথ্যা কথায়
আমি মনুষ্যত্বের আভাস পাই।
কী অবলিলায় তুমি বলে দিলে
ওটা টিকটিকি ছিল!
তুমি তো বলতে পারতে
ওটা একটা গরু ছিল, পারতে না?
বুঝতাম গরুটা হয়ত দুপায়ে দাঁড়িয়েছিল
হাঁপ ছেড়ে বাঁচতে চেয়ে।
মানুষের সাথে টিকটিকি কি কিছু মেলে?
সুন্দর তুমি মিথ্যা বলো আমায়,
বিস্মিত করো অনাবশ্যক তুলনায়।
কাল রাতে টিকটিকি ছিল,
আজ আসবে কি তবে তেলাপোকা একটা?
প্রিয়তম, এসব তো আমি বুঝি,
এভাবেই আমাদের বাঁচতে হয়,
কিছু সুখ লুকিয়ে, মানুষের বেশে, হেসে।

 

প্রিয়তম,

তুমি আমায় শুধু স্বর্গে ডাকো।

আমি বলি—

আসো, নরকটাকে স্বর্গ বানাই।

 

প্রিয়তম,

বলিনি তো আমার মত হও,

বলিনিতো পদ্মা ‍তুমি যমুনা হও।

বলেছি তুমি নদী হও,

কিসের নেশায় তুমি সমতলে শুকাও?

নদী ঠিকই নদীতে মেলে

সে কখনো মিলতে কি পারে মরুতে?

তুমি মানুষ হও,

মিলব আমরা ঠিকই একদিন বিপরীতে।

 

প্রিয়তম,

তুমি কেমন প্রতারক হতে পারো নিমিষে!

আমার খুব হাসি পায়।

প্রিয়তম, ওরা বলে হায় হায়!

আমার যে শুধু হাসি পায়।